দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভারতের হায়দরাবাদের এক সরকারি স্কুলের ৪২ বছর বয়সী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদ থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণা জেলার একটি আপার প্রাইমারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে শিশুটি। গায়ে ক্ষত ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিন্তিত হয়ে পড়ে বাড়ির লোক। শিশুটি পরে ঘটনার কথা জানায়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রক্ত বন্ধ করতে চারটি সেলাইও করতে হয়।
প্রথমে মেয়ের ভবিষ্যত ও পরিবারের কথা ভেবে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়নি। পরে এক মানবাধিকার কর্মীর সাহসে পুলিশে অভিযোগ জানায় মেয়েটির মা।
অন্ধ্রপ্রদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী গান্তা শ্রীনিবাস ঘটনার কথা জানতে পারে। তিনি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন।
জেলা শিক্ষা আধিকারিক এম ভি রাজ্যলক্ষ্মী বলেন, ‘ঘটনাটি সামনে আসতেই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’