হত্যার পর বন্ধুর মৃতদেহ টুকরো করে কমোডে ফ্ল্যাশ করলো এক যুবক। টানা চার দিন নিজের ফ্ল্যাটের টয়লেটেই লাশটি খণ্ড করেন অভিযুক্ত পিন্টু।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের বাছরাজ প্যারাডাইজ সোসাইটিতে।
গত সপ্তাহে নিহত গণেশ ভিথথাল কলহাটকারকে ঋণের এক লাখ টাকা শোধ করতে না পারায় নির্মমভাবে হত্যা করেন তারই বন্ধু পিন্টু। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবাসনের সেপ্টিক ট্যাঙ্কের নিষ্কাসনে সমস্যা দেখে পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন বাসিন্দারা। কিন্তু পরিষ্কার করতে গিয়ে সেখানে টুকরো টুকরো করে কাটা মানুষের শরীরের অংশ দেখতে পেয়ে আতঙ্কে পড়েন শ্রমিকরা। তারা দেখেন, নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে কারণ নোংরার সঙ্গে মানুষের মাংসের টুকরো পানির পাইপের মুখে এসে আটকে রয়েছে। শ্রমিকরাই অবিলম্বে পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পিন্টুর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি গণেশকে নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে পিন্টু। কিছু আসবাবপত্র সরাতে সাহায্য চাই বলেই গণেশকে ডেকে পাঠান তিনি। বাড়িতে আসার পরে কিছুক্ষণ মদ্যপানের পর দুজনের মধ্যে ধার করা টাকা শোধ না করা নিয়ে বচসা বাধে। এর পরেই পিন্টু গণেশকে হত্যা করে।
খুব শিগগিরই বিয়ে করার কথা ছিল গণেশের। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তোলে পিন্টু, কারণ গণেশ তার থেকে নেওয়া ধার শোধ করেননি। বন্ধুকে হত্যা করার পর পিন্টু লাশটি টুকরো টুকরো করে চার দিন ধরে টয়লেটের মধ্যে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়।
পুলিশ ইন্সপেক্টর জয়ন্ত ভজওয়ালে বলেন, ‘বুধবার গণেশকে হত্যা করা হয়। খুন করার পর বেশ কয়েকদিন ধরে তার শরীরের টুকরো কেটে কেটে পিন্টু টয়লেটে ওই শরীরের অংশগুলো ফেলে ফ্লাশ করে দেন। এরপর তিনি শরীরের হাড়গুলো আলাদা আলাদা করে নেন এবং ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেন।’
গণেশের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়। নিহত গণেশ একটি ছাপাখানা চালাতেন। অন্যদিকে মুম্বাইয়ের ভাকোলার বাসিন্দা পিন্টু স্টক মার্কেটের একজন বিনিয়োগকারী।