কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট দিনে কোনো রকমের ব্যর্থতা ছাড়াই কুমিল্লার বিশেষ জজ ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে শুনানি করেন একে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদনটি দায়ের করেন দলের আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, ‘কুমিল্লার বিশেষ জজ ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি চারবার পিছিয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি শুনানি পিছিয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এ অবস্থায় ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করি। হাইকোর্ট কোনো রকম ব্যর্থতা ছাড়াই ৪ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
বিএনপির অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যায় আট যাত্রী। আহত হন আরও ২৭ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
এই দুটি মামলায় দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে উভয় মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া।