সাত বছর প্রেমের পর গাঁটছড়া বাঁধেন মাহমুদুল হাসান (২৮) ও জুলেখা খাতুন (২৫)। ভালোই চলছিল সংসার। একদিন হঠাৎ একটি মোবাইল ফোনের কলে ঘটে যায় বিপত্তি। মাহমুদুলের মনে সন্দেহ বাসা বাঁধে। কারও সঙ্গে পরকীয়া করছে না তো?
রহস্য উদ্ঘাটনে ‘গোয়েন্দার’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নিজেই। বোরকা পরে স্ত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ধরা পড়লেন মাহমুদুল।
স্ত্রীর অনার্স মৌখিক পরীক্ষা থাকায় এক সঙ্গে ট্রেনে চেপে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ শহরে আসেন। রিকশায় করে স্ত্রীকে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ গেটে নামিয়ে দেন। এরপর স্ত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকলেও সেখানে কী করছে, কার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছে, এসব জানার ‘ফন্দি’ আঁটেন। বাইরের দোকান থেকে বোরকা কিনে ছদ্মবেশে স্ত্রীর কলেজে প্রবেশ করেন মাহমুদুল। কিন্তু ভুল করে বসেন তিনি! বোরকা পরে পুরুষের বাথরুম থেকে ‘নারী’ বের হওয়ায় সন্দেহ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের। ব্যস, সোজা পুলিশে খবর।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসে আবিষ্কার করে বোরকা পরিহিত তিনি আসলে পুরুষ। কিন্তু কেন? পরে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য নিজের মুখেই পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেন মাহমুদুল হাসান। এ ঘটনাপ্রবাহ সোমবার দুপুরের। আটক মাহমুদুল হাসানের বাড়ি শেরপুর জেলায়। তবে জামালপুরের আইবিএ কলেজে করণিক পদে চাকরি করেন তিনি।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল জানান, জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বোরকা পরে ছদ্মবেশে কলেজে প্রবেশের ঘটনাটি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান। এর পরও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে তার স্ত্রী জুলেখা খাতুনের সঙ্গেও। তারা দুজনেই আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছে। এর পর দুজনের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।