কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়াপাড়ায় বিজিবি-পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মোস্তাক ওরফে মুছু (৩৮) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।
রোববার ভোরে গোলাগুলিতে আহত মোস্তাক সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি টেকনাফ সদরের উত্তর জালিয়াপাড়ার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুজ্জামান চৌধুরী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গড়ফাদার মোস্তাক আহমদ মুছুকে ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইয়াবাসহ আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা তার কাছে সংরক্ষিত আছে বলে জানায় সে। শনিবার রাত রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে টেকনাফ পুলিশের সহযোগিতায় নায়েক হাবিল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিজিবি যৌথ অভিযানে যায়।
কিন্তু উপস্থিতি টের পেয়ে মোস্তাকের সহযোগীরা গুলি ও হামলা চালায়। এতে বিজিবির দুই সদস্য ও এক পুলিশ আহত হন। যৌথ বাহিনী আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। গুলি থামার পর তল্লাশি করে মোস্তাককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মুছু মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে ১০ পিস হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
গোলাগুলি, ইয়াবা ও অস্ত্র জব্দের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।