চলমান বিপিএলের ১৪তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং চিটাগং ভাইকিংস। ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন কুমিল্লার লঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরা, পরে সেই ঝড়ের পাল্টা জবাব দেন ভাইকিংস দলপতি মুশফিক। শেষ ওভারে ২ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মুশফিকের চিটাগং।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার দলপতি ইমরুল কায়েস। মুশফিকের ভাইকিংসের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভিক্টোরিয়ান্সরা তোলে ১৮৪ রান। জবাবে, ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ভাইকিংস।
কুমিল্লার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল এবং এভিন লুইস। তামিম ০ রানে বিদায়ের পর লুইস খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। ক্যারিবীয়ান তারকার ৩৪ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি। তবে, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তিন নম্বরে নামা এনামুল হক বিজয় ১০ রান করেন। দলপতি ইমরুল কায়েস ২১ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ২৪ রান।
মাঝে লিয়াম ডসন ২ এবং শহীদ আফ্রিদি হিট আউট হয়ে বিদায়ের আগে করেন ২ রান। এরপর জুটি গড়েন দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে আজ দলে যোগ দেওয়া থিসারা পেরেরা আর সাইফুদ্দিন। পেরেরা ব্যাট হাতে নিজের প্রথম ম্যাচেই ঝড় তোলেন। আগুনে ফর্মে থাকা এই লঙ্কান ২৬ বলে ৩টি চার আর ৮টি ছক্কায় করেন ৭৪ রান। সাইফ ১৯ বলে ২টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ২৬ রান। দুজনই অপরাজিত থাকেন। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারানোর পর আর কোনো উইকেট হারায়নি কুমিল্লা। সাইফ-পেরেরা ৪০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯৮ রান করেন।
ভাইকিংসের পেসার খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান রবি ফ্রাইলিঙ্ক, আবু জায়েদ। উইকেট পাননি নাঈম হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন এবং সানজামুল ইসলাম।
১৮৫ রানের টার্গেটে ভাইকিংসের ওপেনার ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ১৩ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ব্যাটে ঝড় তুলে ২৭ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৪৬ রান। তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলি ৪, নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৩, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১২ রান করে বিদায় নেন।
একপ্রান্তে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ভাইকিংস দলপতি মুশফিক। ৪১ বলে করেন ৭৫ রান। তাতে ছিল ৭টি চার আর ৪টি ছক্কার মার। শেষ ওভারে ভাইকিংসের দরকার হয় ৭ রান। বোলিং আক্রমণে আসেন লিয়াম ডসন। প্রথম বলে রবি ফ্রাইলিঙ্ক রান নিতে না পারলেও দ্বিতীয় বলে আসে সিঙ্গেল রান। তৃতীয় বলে নাঈম হাসান এক রান দিয়ে স্ট্রাইক দেন ফ্রাইলিঙ্ককে। চতুর্থ বলে ফ্রাইলিঙ্ক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নেন। ফ্রাইলিঙ্ক ৫ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সাইফ ৪ ওভারে ৪৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। আফ্রিদি ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে পান একটি উইকেট। আবু হায়দার রনি কোনো উইকেট পাননি। লিয়াম ডসন ২.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। থিসারা পেরেরা ২ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।