লাঠিচার্জ-গুলি-ভাঙচুর, বিজিবি মোতায়েন, শতাধিক গার্মেন্টস বন্ধ

বেতন বৈষম্যের অভিযোগে টানা চতুর্থ দিনের মত সাভার ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ, গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক ও পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০জন।

উপায় না পেয়ে সাভারের স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শামস স্টাইল ওয়্যারস লিমিটেডসহ তিনটি কারখানা ও আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নিউ এশিয়া এবং ম্যাট্রো কারখানাসহ প্রায় শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাভারে বিভিন্ন পোশাক কারখানার সামনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সাভারের উলাইল ও আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক বিক্ষোভের এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও শ্রমিকদের একাধিক সূত্র জানায়, সকালে বেতন বৈষম্যর দাবি তুলে সাভারের উলাইল ও আশুলিয়ার কাঠগড়া, নরসিংহপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

একপর্যায়ে, পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসময় পুলিশ শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ, গুলি ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেও হয়েছে।

শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক সানা শামীনুর রহমান শামীম গণমাধ্যমকে জানান, পোশাক কারখানাগুলোতে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত তিনদিন এয়ারপোর্ট, উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। রবিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরায় সড়ক অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা।

এর পর সোমবার ও মঙ্গলবার সাভার, হেমায়েতপুর, মিরপুর, উত্তরাসহ রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকরা। মঙ্গলবার হেমায়েতপুরের উড়াইল এলাকার আনলিমা গার্মেন্টসের সামনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে সুমন মিয়া (২২) এক শ্রমিক নিহত হোন। এছাড়া গত তিন দিনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে শতাধিক শ্রমিক আহতের খবর পাওয়া গেছে।

Scroll to Top