সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আজও বিক্ষোভ করেছে। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর, দক্ষিণখান ও সাভার এলাকায় এই বিক্ষোভ দেখা যায়।এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় দুভোর্গে পড়েছেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত শনিবার থেকে বকেয়া বেতন ও মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী ৫১ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি শুধু ৭ম গ্রেডের ক্ষেত্রেই দিচ্ছে মালিকরা। সমান বেতন দেওয়া হচ্ছে না, মূল্যায়ন করা হচ্ছে না অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে।
এদিকে শ্রমিকদের টানা বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাস আগে ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার শ্রম ভবনে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের পর নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বৈঠকে মালিক পক্ষের পাঁচজন, শ্রমিক পক্ষের পাঁচজন এবং সরকারের বাণিজ্য সচিব ও শ্রম সচিবকে নিয়ে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকের পর ‘বিশৃঙ্খলা না করে’ শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘গঠিত কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে মজুরির অসঙ্গতিগুলো খতিয়ে দেখবে এবং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মজুরি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তা আলোচনা করে এক মাসের মধ্যেই সমাধান করা হবে। জানুয়ারি মাসে কোনো শ্রমিককে কম বেতন দেওয়া হবে না। কোনো গ্রেডে কারও যদি বেতন কমে যায়, তবে সেটা হিসাব করে সমন্বয় করা হবে। বকেয়া আকারে শ্রমিকরা সেই বেতন পেয়ে যাবেন।’