ব্যাংককের প্রধান বিমানবন্দরে আটকে পড়া সৌদি তরুণী দেশে তার পরিবারের কাছে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। রাফাহ মোহাম্মদ আল কুনুন নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন তিনি দেশে ফিরলে তাকে হত্যা করা হবে। একারণে তিনি কুয়েতে বেড়াতে যাওয়ার পর পরিবার থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
সোমবার ব্যাংকক থেকে কুয়েতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা থাকলেও একটি হোটেলে তিনি নিজেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন একারণে তাকে পরিবারের সদস্যরা হত্যা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাফাহ। খবর বিবিসির।
কুয়েতে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দুই দিন আগে পালিয়ে থাইল্যান্ডে আসেন তিনি। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু থাইল্যান্ড প্রবেশের অনুমতি না থাকায় তাকে আটক করা হয়। তাকে হোটেল থেকে বের করে কুয়েতে পাঠানোর চেষ্টা করছেন সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
তাকে যেন কুয়েতে এবং সেখান থেকে সৌদি ফেরানো না হয় এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিয়েছেন রাফাহ। সেখানে তিনি তার অভিযোগ ও পারিবারিক নির্যাতনের কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা থাকলেও তার পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছে সৌদি কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে সৌদি কর্মকর্তারা জানান, তার পাসপোর্ট রয়েছে কিন্তু ফেরত টিকেট না থাকার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে।
ব্যাংকক বিবিসির প্রধান জনাথন জানিয়েছেন রাফাহ ভীত এবং বিভ্রান্ত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি মিডিল ইস্ট ডিরেক্টর মাইকেল পেজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সৌদি নারীরা আত্মীয়দের কাছ থেকে ভীষণ সহিংসতা, স্বাধীনতার বঞ্চনা এবং তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফিরে আসাসহ গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।’ এছাড়া তাকে সৌদি ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস