লাখো মানুষকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রোববার ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে তিন দফা জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে তাকে।
দলের দুঃসময়ের এই কাণ্ডারিকে বিদায় ও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বত্র নেমেছিল নেতাকর্মী ও মানুষের ঢল। প্রিয় নেতাকে তারা শেষ বিদায় জানিয়েছেন অশ্রু ও ভালোবাসায়।
এদিন সকালে প্রথমে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে গার্ড অব অনারও দেওয়া হয় জাতির সূর্যসন্তান এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
এরপর হেলিকপ্টারযোগে কিশোরগঞ্জে নেওয়ার পর ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় এবং পরে ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় দফা জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয় তার মরদেহ। বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফকে।
৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কয়েক মাস ধরেই। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় মৃত্যু হয় তার।
শনিবার সন্ধ্যায় মরদেহ দেশে আনার পর প্রথমে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এবং পরে সৈয়দ আশরাফের বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে দুই দফা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান শোকাহত দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্য-শুভানুধ্যায়ীরা। রাতে মরদেহ রাখা হয়েছিল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে।
হিমঘর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ রোববার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নেওয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে কালো কাপড়ে আচ্ছাদিত বেদিতে জাতীয় ও দলীয় পতাকায় মোড়া মরদেহের কফিন রাখা হয়। এরপর শুরু হয় জানাজা; রাষ্ট্রীয় সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে থেকেই সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজায় যোগ দিতে আসা মানুষের ঢল নেমেছিল।
সংসদ প্লাজায় এমপি বা সাবেক এমপিদের জানাজায় সাধারণ যত মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়, এদিন সৈয়দ আশরাফের জানাজায় উপস্থিতি ছিল কয়েক গুণ বেশি। দক্ষিণ প্লাজার ওপরের চত্বর পূর্ণ হয়ে সিঁড়ি ও সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। মানুষের এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
এ অবস্থায় একে একে সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল ও মহাজোট নেতারা, সংসদ সদস্য, সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি এবং সর্বস্তরের মানুষ সমবেত হন। সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পর সৈয়দ আশরাফের জানাজা শুরু হলে সেখানে জনতার ঢল নামে।
সংসদ সচিবালয় জামে মসজিদের ইমাম আবু রায়হানের পরিচালনায় জানাজা ও মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষ। জানাজা শেষে একাত্তরের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা গার্ড অব অনার ও সশস্ত্র সালাম দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই গার্ড অব অনার প্রদানের সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সৈয়দ আশরাফের মরদেহের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর এক মিনিট পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে সরকারপ্রধান ও পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দুই দফা ফুল দিয়ে দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী সৈয়দ আশরাফের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে শোকের প্রতীক কালো চাদর পরিহিত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বেদনাহত ও বিমর্ষ দেখা গেছে। তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সেখানে।
প্রধানমন্ত্রীর পর একে একে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে জাতীয় পার্টির নেতারা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সৈয়দ আশরাফের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন সবাই।
জানাজার আগে দলের ত্যাগী-নিবেদিত নেতা ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, \’আমার ভাই দীর্ঘদিন আপনাদের সঙ্গে ছিলেন। আপনাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তার কোনো ভুলত্রুটি থাকলে আপনারা ক্ষমা করবেন। এ ছাড়া তার কোনো দেনা-পাওনা থাকলে আমাদের জানাবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।\’
জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সাদেক খান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, আসলামুল হক আসলাম প্রমুখ।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সংসদ ভবন চত্বর উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে সেখানে সর্বস্তরের মানুষ সৈয়দ আশরাফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী দল এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল সাড়ে ১১টার পর হেলিকপ্টারে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
কিশোরগঞ্জে মানুষের ঢল: কিশোরগঞ্জবাসী তাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজায় অংশ নিতে সকালেই হাজির হয়েছিলেন। হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় শোক স্তব্ধ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে এক গম্ভীর পরিবেশ বিরাজ করে।
সকাল পৌনে ১১টার মধ্যে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দল-মত নির্বিশেষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মো. খলীলুর রহমান।
জানাজায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, বিসিবির সভাপতি মো. নাজমুল হাসান পাপন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি, মো. আফজাল হোসেন এমপি, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সৈয়দ তারিকুল ইসলাম ভিকটর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে রীমা ইসলাম ও ছোট বোন সৈয়দা নাফিজা নূর রূপাসহ নারীদের একটি বড় অংশ।
ময়মনসিংহে নিজ জন্মভূমিতে তৃতীয় জানাজা: ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, বরেণ্য নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসামের তৃতীয় জানাজা তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নিজ জন্মভূমি ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। রোববার দুপুর আড়াইটায় কিশোরগঞ্জ থেকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউসে নিয়ে আসা হয়। এখানে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
বিকেল ৩টায় শহরের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে তার লাশ নেওয়ার পর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন। জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহম্মেদ, জেলা জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নুসহ ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জানাজা শেষে মরহুমের জন্য নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে আশরাফুল ইসলামের লাশ হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়।
দাফন: রোববার আসরের পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বনানী কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। ছিলেন সৈয়দ আশরাফের পরিবারের সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, বনানী থানা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দাফন শেষে সৈয়দ আশরাফের চাচাতো ভাই এবং কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু দেশবাসীর কাছে তার ভাইয়ের জন্য দোয়া কামনা করেন