বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে রাজশাহী কিংসকে উড়িয়ে শুভসূচনা করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসানরা। ঢাকার দেওয়া ১৯০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী কিংস।
টসে হেরে আগে ব্যাট করে রাজশাহী কিংসের সামনে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জ চুড়ে দিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে সাকিবের দল। তবে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ঢাকার ব্যাটসম্যানদেড় ব্যাটে রানের বন্যা বইলেও কথা বলেনি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের ব্যাট। বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারায় রাজশাহী।
সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে হাফিজের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে আরাফাত সানির ব্যাট থেকে। মোস্তাফিজ ১১ ও ইভান্স ১০ রান করেন। তিন উইকেট নিয়ে রাজশাহীর ইনিংস গুড়িয়ে দেন ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন। মোহর শেখ নেন দুই উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন রাসেল, পোলার্ড, শুভাগত ও সাকিব।
আজ শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেন রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। ব্যাটিংয়ে নেমেই দুই ওপেনার হজরতুলাহ জাজাই ও সুনীল নারাইন উড়ন্ত সূচনা করেন। ১০ ওভার ৪ বলে ১১৬ রানের মাথায় নারাইন আউট হলে ভাঙ্গে ১১৬ রানের ওপেনিং জুটি। সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন হজরতুল্লাহ জাজাই। সুনীল নারাইনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। শুভাগত ৩৪ ও অ্যান্ড্রু রাসেল ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক সাকিব ও উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান পোলার্ড। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ২ ও ৩ রান করে।
ব্যাটিংয়ের মতো রাজশাহীর ফিল্ডিংও ছিল খুব দৃষ্টিকটু। দলটির ফিল্ডাররা যেনো ক্যাচ মিসের মহড়া করেছেন। শুরু থেকেই সহজ ক্যাচ না ছেড়ে দিলে ঢাকাকে আটকে রাখা যেত আরও কম রানে। রাজশাহীর সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন আলাউদ্দিন বাবু। তিনি তিন ওভার বল করে ৫৩ রান দেন। আরাফাত সানির ঝুলিতে জমা হয় দুই উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী, হাফিজ ও কায়েস আহমেদ।