জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে আনুমানিক ৮ হাজার ৪২৮ জন শিশু জন্মগ্রহণ করবে। এছাড়া আজ সারাবিশ্বে জন্মগ্রহণ করবে আনুমানিক মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ শিশু, যার ২ দশমিক ১৩ শতাংশ জন্মাবে বাংলাদেশে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে ২০১৯ সালের প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনের শেষ শিশুর জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিশ্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের এক চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।
১ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে পরিবারগুলো অসংখ্য আলেকজান্ডার ও আয়েশা এবং ঝেং ও জায়নাবকে স্বাগত জানাবে। তবে বেশ কয়েকটি দেশে অনেক শিশুর এমনকি নাম রাখাও সম্ভব হবে না। কেননা এই শিশুরা তাদের জীবনের প্রথম দিনটি পার করার আগেই মৃত্যুবরণ করবে।
২০১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ শিশু তাদের জন্মের প্রথম দিনেই এবং প্রায় ২৫ লাখ শিশু তাদের জীবনের প্রথম মাসেই মৃত্যুবরণ করে। এই শিশুদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয় অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ, প্রসবকালীন জটিলতা এবং দূষণ ও নিউমোনিয়ার সংক্রমণের মতো প্রতিরোধযোগ্য কারণে; যা তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক শার্লট পেত্রি গোর্নিৎজকা বলেন, আসুন, নতুন এই বছরের প্রথম দিনে আমরা সবাই প্রতিটি শিশুর প্রতিটি অধিকার পূরণে সংকল্পবদ্ধ হই। আর এটা শুরু করি শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই। প্রতিটি নবজাতকের জন্মই যাতে নিরাপদ কারও হাতে হয় তার জন্য আমরা যদি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানে ও তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির যোগান দিতে বিনিয়োগ করি, তাহলে আমরা লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচাতে পারি।
২০১৯ সালে শিশু অধিকার বিষয়ক সনদ গ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি হবে, যা এই বছরজুড়ে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করবে ইউনিসেফ। এই সনদের আওতায় সরকারগুলো আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি মানসম্মত উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত তিন দশকে শিশুমৃত্যুর হার কমায় বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম জন্মদিনের আগেই শিশুমৃত্যুর হার অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। তবে নবজাতকদের ক্ষেত্রে এই অগ্রগতির হার কম। পাঁচ বছরের কম বয়সে যত শিশুর মৃত্যু হয় তাদের ৪৭ শতাংশই জীবনের প্রথম মাসে মারা যায়।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে