রাজবাড়ী জেলার কালুখালীতে ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পর ২৫দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
বড় লোকের ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে উপজেলার চরকাটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত কাশেম মোল্লার ছেলে কুদরত মোল্লা ওরফে কুতুবদ্দিন (২৫) ও দাদশী (মিরকী) গ্রামের সামছুলের ছেলে জাকির ওরফে সবুজ (৩০)।
ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে এই দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই ছাত্রী।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী কুতুবদ্দিন মাঝে মধ্যেই তাকে বড় লোকের ছেলের সাথে বিয়ে দেবে বলে প্রলোভন দেখাতো। বিষয়টি টের পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা কুতুবদ্দিনকে ধমক দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় কুতুব। কিন্তু তার ফেলা ফাঁদে জড়িয়ে যায় ওই ছাত্রী। বড়লোকের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে গেলে টাকা প্রয়োজন বলেও জানায় কুতুবদ্দিন।
কুতুবদ্দিনের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ঘরে থাকা বাবার গচ্ছিত ১লাখ ৩৩ হাজার টাকা চুরি করে সে। এরপর গত ১১ আগস্ট রাত ৯টার দিকে কুতুবদ্দিন ওই টাকাসহ তাকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে তার বন্ধু জাকির ওরফে সবুজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে তারা দুই বন্ধু বড়লোকের ছেলের সাথে বিয়ে দেবে বলে ওই টাকা তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। এরপর সবুজের ঘরে মেয়েটিকে আটকে প্রতিরাতেই তারা দুজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। সেই সাথে চলতে থাকে পাশবিক নির্যাতন।
এভাবে ওই বাড়িতে ১০দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার পর তাকে ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে সবুজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আটকে রেখে সবুজ তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে কুতুবদ্দিন ও সবুজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করা শুরু করলে গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে তারা মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীর বাবাকে জানায় বেলগাছি রেলস্টেশনে তাকে পাওয়া গেছে। এ খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা বেলগাছি স্টেশনে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে বিচারের কথা হয়। কিন্তু সেটি না হওয়ায় ওই ছাত্রী সোমবার আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি কালুখালী থানায় রেকর্ড করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।