আবারও শিরোনামে নাসির হোসেন। কদিন আগে শিরোনামে এসেছিলেন তিনি মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে। কিন্তু এবার তার মুখে রাতের অন্ধকার! দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলে জায়গা হয়নি তার। মাত্র এক সিরিজ পরই ছিটকে গেলেন দল থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে তার পারফরম্যান্স আহামরি কিছু ছিল না, তবে তার চেয়ে খারাপ পারফরম করে যেখানে টিকে গেছেন অনেকে, সেখানে তার বাদ পড়ায় প্রশ্নের জন্ম দেওয়াটা স্বাভাবিক।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মাহমুদউল্লাহকে দলের বাইরে রাখা নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল বলেছিলেন, ওয়ানডে আর টেস্ট ক্রিকেট এক নয়। ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো খেলেও সেটি তাঁর জন্য যথেষ্ট ছিল না দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুযোগ পেতে। মজাটা হচ্ছে, মিনহাজুলের দাবি, এবার নাকি তাঁর পরামর্শেই দলে রাখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটে ভালো করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা বিসিবির প্রধান নির্বাচকের, ‘আমরা ভেবেছি দেশের বাইরে যেখানে বাউন্সি উইকেট, বল তাড়াতাড়ি ব্যাটে আসে, সেখানে ও ভালো ব্যাটিং করে। একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আর সাকিব যেহেতু নেই, এসব চিন্তা করেই ওকে রাখা।’
এটা ঠিক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ যে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন, প্রতিটি বাউন্সি-দ্রুতগতির উইকেটে।
কিন্তু কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৪৫ রান করা নাসির কেন সুযোগ পেলেন না এই সিরিজে? মিনহাজুলের কথায় মনে হলো, বাউন্সি উইকেটে ভালো ব্যাটিং করতে পারেন না, এই যুক্তিতে নাসিরকে নেওয়া হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দলে, ‘আমরা দেশে একধরনের ক্রিকেট খেলি। বিদেশে আরেক রকম। দুদিকে ভারসাম্য রাখতে স্কোয়াডে এদিক-ওদিক করতে হয়। আগেও বলেছি, ২৯ জন খেলোয়াড়কে পুলে রেখেছি। যাকে যখন প্রয়োজন হচ্ছে, এই পুল থেকে তাকে নেওয়া হচ্ছে। আবার দলের বাইরে রাখা হচ্ছে। দলের একটা সমন্বয় বা পরিকল্পনা থাকে। ওখানে যেহেতু বাউন্সি উইকেটে খেলা হবে, ওর ব্যাটিং সামর্থ্যের কথাও ভাবা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি