মুসলিম আইনে পুরুষ যেমন স্ত্রী-কে তালাক দিতে পারেন, তেমনি স্ত্রীও ‘খুলা’-র মাধ্যমে বৈবাহিক চুক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে স্বামীর থেকে ‘খুলা’ বা বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন স্কুলশিক্ষিকা শাজাদা খাতুন।
তার দাবি, স্বামী জুবের আলির থেকে অনেক দিনই বিচ্ছেদ চাইছিলেন তিনি। ধর্মগুরুদের মাধ্যমেই সেটা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি। তাই মুক্তি পেতে এই পথই বেছে নিলেন।
শুধু মৌখিক ঘোষণা নয়, সাংবাদিক বৈঠকে খুলা-র জন্য একটি চিঠিতে সই করে সংবাদমাধ্যমকে শাজাদা বলেন, ‘‘আমি সবার সামনে খুলা-য় সই করছি। এটা পাঠাচ্ছি আমার স্বামীকে। আমি এখন মুক্ত। ‘ মুসলিম উওম্যান লিগের সাধারণ সম্পাদিকা নইশ হাসান বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে শাজাদাকে সাহায্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চাইছিলেন শাজাদা। ১৮ মাস ধরে আলাদাও থাকছিলেন। তার পরেই এই পদক্ষেপ। ঘটনা হল, তিন তালাক, নিকাহ হালালা, বহুবিবাহ ইত্যাদি নিয়ে আপত্তি তুলে মুসলিম নারীদের দিক থেকে চাপ বাড়ছেই। আদালতে তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা অবৈধ আখ্যা পেয়েছে।
শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার বলেন, ‘এমন ঘটনা জীবনে প্রথম শুনলাম। এটা সুসংবাদ। কারণ মুসলিম সমাজে মেয়েরা খুলা-র ব্যাপারটা ঠিক ভাবে জানেনই না। বোঝা যাচ্ছে তারা সচেতন হচ্ছেন।‘
তবে শাজাদা জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে থাকার জন্য কেউ তাকে জোর করতে পারেন না। যদি কারও অসুবিধা থাকে, তিনি আদালতে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে