জঙ্গি আস্তানায় সাতজনের পোড়া খুলি

মিরপুরের মাজার রোডের জঙ্গি আস্তানায় পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া সাতজনের মাথার খুলি ও কঙ্কাল উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাসাটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ায় তারা পুড়ে ছাই হয়ে যান।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। র‌্যাব-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এই অভিযান চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট এতে অংশ নিয়েছে।

বেনজির আহমেদ বলেন, ‘বাসার ভেতর থেকে সাতটি স্ক্যালাপ (খুলি) পাওয়া গেছে। গতকাল ওই বাসায় জঙ্গিরা পাঁচটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, এর মধ্যে তিনটি প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এর ফলে ওই ভবনের চার তলা এবং পাচ তলায় আগুন ধরে যায়।’

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন ওখানে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করছে। রুমের তাপমাত্রা এখনো ৫৫ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রুমের তাপমাত্রা কমানোর জন্য সবগুলো জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এই কারণে রুমের ভেতরে পানিও দেয়া যাচ্ছে না।’

বেনজির বলেন, ‘জঙ্গি আব্দুল্লাহ ২০০৫ সাল থেকে জেএমবির সঙ্গে জড়িত। সারোয়ার জাহান যখন জেএমবি ভেঙে চলে যান, তখন থেকে আব্দুল্লাহ আল আনসারের দায়িত্ব পালন করতেন। আল আনছারে কাজ হচ্ছে, জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া। এই কাজগুলো জঙ্গি আব্দুল্লাহ করতেন।’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘র‌্যাব বছরখানেক আগে এই জঙ্গি আব্দুল্লাহর খবর জানতে পারে এক জঙ্গির মাধ্যমে, সেই জঙ্গি এখনো জেলে আছে। জঙ্গি আব্দুল্লাহর বাসায় তামিম চৌধুরী, মাহফুজসহ বড় বড় জঙ্গিরা ঘুমিয়েছেন, তখন আমরা তাকে ট্রেচ করতে পারিনি।’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি

Scroll to Top