বাবার অশ্লীল কীর্তির পর্দাফাঁস!

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি এমএমএস উত্তরপ্রদেশের বারাঙ্বাকী জেলার এক নকলী বাবা অশ্লীল কাণ্ডকারখানার পর্দাফাঁস করে দিয়েছে৷ স্বংয়ভু বাবা মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করতেন৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিঃসন্তান মহিলাদেরই তিনি শিকার বানাতেন৷ তিনি চিকিৎসার নামে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন৷ এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।

বারাঙ্বাকী জেলার কোতয়ালি এলাকার গটনা৷ সেখানে শঙ্কর নিবারী ওরফে পরমানন্দ বাবা মা কালী হরই ধাম নামে একটি আশ্রম বানান৷ প্রতিদিন বাবাকে ঘিরে তার তার অসংখ্য ভক্ত, বিশেষ করে মহিলা ভক্ত৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে বাবার অশ্লীল কীর্তি দেখা যায়৷

বাবা মহিলাদের ভুলিয়ে তাদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করতেন ও অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও বানিয়ে রাখত৷ পরে ওই ভিডিয়ের সাহায্যে তিনি মহিলাদের ব্ল্যাকমেইল করতেন৷ কিন্তু, বাবা হয়ত স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তারই বানানো ভিডিও তার মুখোশ টেনে খুলে দেবে৷

আসলে বাবা ধনী মহিলাদের ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘদিন ধরে পয়সা আদায় করতেন৷ এই কারণেই তার সম্পত্তি দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছিল৷ কিন্তু বাধ সাধল একটি কম্পিউটার৷ আসলে, বাবার আশ্রমের একটি কম্পিউটার হঠাৎ খারাপ হওয়ায় সেটিকে বাইরে মেরামতির জন্য পাঠান হয়৷ সেই কম্পিউটার থেকেই বাবার কীর্তি ফাঁস হয়৷

জানা গিয়েছে, বাবা পরমানন্দ নিজের আশ্রমে নিঃসন্তান মহিলাদের চিকিৎসা করতেন৷ তন্ত্র-মন্ত্রের সাহায্যে মহিলাদের পুত্রসন্তান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি মহিলাদের যৌনশোষণ করতেন৷ সে ঘরে এ সব করা হয় সেখানেই একটি গোপন ক্যামেরা লাগান থাকত যা সমস্ত ভিডিও রেকর্ড করতে নিত৷ এর সাহায্যেই বাবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ব্যবসা চালিয়ে দিন দিন ধনী হয়ে উঠছিলেন৷ বাবার ভক্তের মধ্যে বড় বড় আধিকারিকও সামিল রয়েছেন৷

গিরীশ তিওয়ারি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ করেন, বাবা মহিলাদের যৌন শোষণের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত৷ অর্থ আদায়ের পর তিনি তাদের ছেড়ে দিতেন৷ ওই মহিলাদের মধ্যে কয়েকজনকে তিনি দালাল হিসেবে কাজে লাগাতেন৷ গিরীশের দাবি, বাবার সঙ্গে কিছু পুলিশকর্মীও যুক্ত ছিলেন, এই কারণে পুলিশ কখনও বাবার আশ্রমে তল্লাশি করেনি৷ কোনও পুলিশ আধিকারিক আশ্রমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে বাবা তার লোকবল কাজে লাগিয়ে তার ট্রান্সফার করিয়ে দিতেন৷

এমএমএস ভাইরাল হওয়ার পর মামলা পুলিশের কাছে পৌঁছায়৷ এরপরেই এসপির নির্দেশে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে৷ পুলিশ বাবা পরমানন্দের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আইটি অ্যাক্টের ধারায় মামলা দায়ের করেছে৷

বারাঙ্বাকীর এসপি আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন, সিও সিটিকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যে ভিডিওটি সামনে এসেছে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে৷ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতের তদন্ত করা হবে৷ এসপি আরও জানিয়েছেন, পরমানন্দ বাবার বিরুদ্ধে এর আগও প্রায় ন’টি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ এসপি জানান, পুলিশ আশ্রমে গিয়েছিল, কিন্তু সেখানে পরমানন্দ বাবাকে পাওয়া যায়নি৷ সেখানে কেবল কিছু মহিলা ও পুরুষই ছিল৷ আপাতত মামলায় তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩২৪ ঘণ্টা, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ

Scroll to Top