খুলনায় নয় বছরের শিশু সন্তান হাসমি মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তার মাসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে হাসমির মা সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী, মো. রসুল, মো. হাফিজুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি রাব্বি সরদারকে আদালত খালাস দিয়েছে।
২০১৬ সালের ৯ জুন খুলনা নগরীর কার্ত্তিককুল এলাকা থেকে শিশু হাসমির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বাবা মো. হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে জানা যায়, নুরুন্নবীর সঙ্গে সোনিয়ার পরকীয়া প্রেমের জের ধরে মায়ের সামনেই গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করা হয় হাসমিকে। পরে তার লাশ সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাসমির মা সোনিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আড়ংঘাটা থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে গতবছর ৩০ জুন হাফিজুরকে বাদ দিয়ে তিন জনের নামে অভিযোগপত্র দিলে তাতে নারাজি দেন হাসমির বাবা।
পুনরায় তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক মিঠু রানী দাসি গত ২৮ ডিসেম্বর সাত জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলাটি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসার পর পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে গত ২ এপ্রিল বিচার শুরু করে আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ