জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে সহকর্মীকে হত্যা, ২ বন্ধু গ্রেফতার

জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে পরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধু মিলে নৃশংসভাবে সহকর্মী এরশাদকে হত্যা করেন। এ সময় ছিনিয়ে নেয়া হয় ভিকটিমের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে এমনই এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকা থেকে ওই এরশাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিন একই এলাকার সাইজিং মিল শ্রমিক ছিলেন।

পিবিআইয়ের নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ঘটনার দুই মাস আগে চাকরি হারান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিল্লাল মিয়া রনি। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলার ছলে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তার বন্ধু ফরহাদকে নিয়ে পরিকল্পনা করেন টাকা সংগ্রহের। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সহকর্মী এরশাদকে টার্গেট করেন তারা।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভিকটিম এরশাদ মিয়া নিজ বাড়ি শান্তিভাওলা থেকে শহরের কর্মস্থল সাইজিং মিলে যাবার পথে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা রনি ও ফরহাদ তাকে পার্শবর্তী বালুর মাঠে নিয়ে সাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সদর থানার ভিকটিমের বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে কাজ শুরু করে পিবিআই।

পরদিনই ফরহাদকে গ্রেফতার করতে পারলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে মূলহোতা বিল্লাল মিয়া ওরফে রনি। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণে তাকে পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ। ভিকটিমের ব্যবহৃত বাইসাইকেল মাত্র ৯০০ এবং মোবাইল ফোনটি ১৫০০ টাকায় বিক্রি করেন অভিযুক্তরা।

তা ছাড়া আগে থেকেই ভিকটিম এরশাদের বিকাশের পাসওয়ার্ড জানা থাকায় তার সেখানে থাকা ৬ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করেন তারা। এ ঘটনায় অপরাধী দুজনেই তাদের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।