ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় বিদেশ ভ্রমণে এখন পূর্বমুখী হচ্ছেন বাংলাদেশের পর্যটকরা। পছন্দের গন্তব্য তালিকায় থাকছে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড কিংবা মালদ্বীপ। ভারত সাধারণ ভিসা বন্ধ করায় পর্যটকরা বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে বলে মত এয়ারলাইন্সগুলোর।
বছরের শেষ ও শুরুর দিকে চার থেকে পাঁচ মাস, দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়ান ভ্রমণ পিপাসুরা। তাইতো সিলেট, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন রুট ও বিদেশের ফ্লাইটগুলোতেও যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে বিমানবন্দরে।
বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে সহজে ভ্রমণ ও চিকিৎসা নিতে বরাবরই শীর্ষে ছিল ভারত। তবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে সাধারণ ভিসা বন্ধ রেখেছে দেশটি। এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশ ঘুরতে পূর্ব দিকে মুখ ফিরিয়েছেন ভ্রমণকারীরা।
ভ্রমণকারীরা বলছেন, ভারতে যেতেই হবে এমন তো না। বাংলাদেশেও তো ঘোরার মতো অনেক জায়গা আছে। তাছাড়া বিদেশে যেতে চাইলে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায়।
চলতি মৗসুমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশে বেড়েছে বাংলাদেশি পর্যটক। এমন তথ্য দিয়েছে ট্রাভেল ও ট্যুর এজেন্সিদের সংগঠন আটাব-এর।
আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, নতুন ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ ভালো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন জায়গা যেমন গুয়াংজু, কুনমিং এবং বেইজিং ভালো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
ভারত সাধারণ ভিসা বন্ধ করায় পর্যটকরা বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে বলে মত এয়ারলাইন্সগুলোর।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এখন পিক সিজন চলছে। তাছাড়া জুলাই-আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবার মাঝে ঘুরার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে অনেকে ব্যাংকক অথবা কাঠমুন্ডু যাচ্ছে। ট্যুরিস্টদের যাতায়াত বন্ধ হয়নি। যেহেতু ভারতে যাওয়া যাচ্ছে না তাই ভিন্ন ভিন্ন বিকল্প তৈরি হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে দেয়া ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভারত ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক। এদের মধ্যে ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশই ছিল বাংলাদেশি।