শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় চিডোর আঘাতে লন্ডভন্ড ফ্রান্সের মায়োট দ্বীপ। এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে, হতাহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়া দফতর বলছে, গেল ৯০ বছরের মধ্যে দ্বীপটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় চিডো। দ্রুত উদ্ধার কাজের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
স্থানীয় এক কর্মকর্তারা বলেন, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকশ মানুষ মারা যেতে পারে, হয়তো এক হাজার, এমনকি কয়েক হাজারেও পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় চিডোরে মৃতের সংখ্যা নিয়ে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সব হতাহতের হিসাব করা কঠিন, এই মুহূর্তে কোনো সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সাইক্লোন চিডো তাণ্ডব চালায় ফ্রান্স নিয়ন্ত্রিত দ্বীপটিতে। ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে মায়োটে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী ঝড়টি। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় অঞ্চলটি। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপটি। বন্ধ হয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
প্রেসিডেন্টে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নির্দেশের পর উদ্ধার কাজে গতি আসে। একের পর এক মরদেহের সন্ধান পায় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। দিন যতো এগিয়ে যায় ততোই বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা। ফ্রান্সের আবহাওয়া দফতর বলছে, গেল ৯০ বছরের মধ্যে দ্বীপটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় চিডো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কয়েকশ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা সম্ভব না বলেও জানানো হয়। তবে, বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে ৫০০ মাইল দূরে মায়োট দ্বীপের অবস্থান।এখানে অন্তত ৩ লাখ মানুষের বসবাস। ১৮৪৩ সালে দ্বীপটিতে ফ্রান্সের উপনিবেশ শুরু হয়। অঞ্চলটি দেশটির সবচেয়ে গরীব এলাকা হিসেবে পরিচিত।