ফাইনাল এবং টুর্নামেন্ট সেরা ইকবাল ইমন

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে নিয়ন্ত্রিত পেস বোলিং করে ব্যাটারদের বেকায়দায় ফেলেছেন ইকবাল হোসেন ইমন। ফাইনালেও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তরুণ এই পেসার। ভারতকে গুড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছেন তিনি। আর তাই ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে এই ক্রিকেটারের হাতে।

ফাইনাল ম্যাচে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ইকবাল ইমন। শুধু তাই নয়, ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। ফাইনালের আগে সেমিফাইনালেও ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ইমন।

১৩ উইকেট নিয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ইমন। এর মধ্যে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালেই নিয়েছেন ৭ উইকেট। দুই ম্যাচেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাবও রেখেছেন তিনি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের সর্বশেষ টুর্নামেন্টে ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল যুব টাইগাররা। সেবারও দলের অংশ ছিলেন ইকবাল ইমন।

যুব এশিয়া কাপে টুর্নামেন্ট সেরা পারফর্ম করে জাতীয় দল এবং ‘এ’ দলের দরজায় ভালোভাবেই কড়া নাড়লেন ইমন। ঘরোয়া লিগে অবশ্য এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে এই টুর্নামেন্ট নিঃসন্দেহে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে ইমনের সামনে।

এদিকে, এবার ফাইনালে জয়টা অবশ্য সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংস বিরতির সময় ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের সামনে লক্ষ্যটাকে মামুলি মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশি পেসারদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে সেই লক্ষ্যটাই ভারতের সামনে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়ালো। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নদের ৩৫ ওভার ১ বলে ১৩৯ রানে অলআউট করে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

ম্যাচে ইমনের প্রভাব ছিল বেশ। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ২৯ রানের জুটি গড়েন কার্তিকেয়া এবং মোহাম্মদ আরমান। ছোট লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন তারা। তখনই এসে ম্যাচের মোড় ঘুরান ইমন। মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন এই পেসার। আর তাতেই বড় জয় ধরা দিয়েছে।

Scroll to Top