বিমানে করে রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তবে তিনি দামেস্ক ছেড়ে কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এদিকে দেশটির রাজধানীতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির সরাসরি সম্প্রচারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে বিদ্রোহীরা। এরইমধ্যে রাজধানী ঘিরে কয়েকটি উপশহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে এইচটিএস যোদ্ধারা।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও এর মাধ্যমে তার দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। তবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। দীর্ঘদিনের শাসক পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে, আসাদ শাসনের সমাপ্তি দেশটির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
বিদ্রোহীরা বলেছে, ‘নতুন সিরিয়া’ হবে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জায়গা’, যেখানে ন্যায়বিচারের জয় হবে এবং সব সিরীয় নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবো।
বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছি।
এদিকে, আপাতত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, এখন বিদ্রোহীরা দামেস্কের কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করবে না।