নাহিদ রানাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত নন সুজন

একসময় বাংলাদেশে গতিময় পেসারের অনেক অভাব ছিল। পেস সহায়ক পিচেও ভালো পেসারের অভাব বাংলাদেশকে অনেক ভুগিয়েছে। তবে এখন বাংলাদেশের গতিময় পেসারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে নাহিদ রানার কথা। নিয়মিত ১৪৫ কিমি’তে বল করা এই পেসারকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন অনেকেই। তবে বাংলাদেশ দলের সাবেক ম্যানেজার ও খেলোয়াড় খালেদ মাহমুদ সুজন রানাকে দেখে তেমন উচ্ছ্বসিত নন। তার মতে, কিংস্টন টেস্ট জয়ে রানার সঙ্গে সকলেই অবদান রেখেছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। কিংস্টনে ১০১ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগুন বোলিং করেছেন নাহিদ রানা। নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের ঘূর্ণিতে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। তবুও টাইগার এই তরুণ পেসারের প্রশংসা করছেন সকলে।

তবে ব্যতিক্রম সুযোগ। বাংলাদেশের সাবেক এই কোচ মনে করেন, রানা একা নন; তাসকিন, হাসান মাহমুদও টেস্ট জয়ে রেখেছেন বড় অবদান।

বিসিবির সাবেক পরিচালক সুজন বলেন, ‘আমি জ্যামাইকা টেস্ট দেখে খুব অভিভূত। অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে বলবো না। কিন্তু যদি দেখেন পেস বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ, তাসকিন আর নাহিদ রানা তিনজনই দারুণ বোলিং করে ক্যারিবীয়দের কাছ থেকে সমীহ আদায় করে নিয়েছে। এ টেস্ট না খেললেও বাঁহাতি শরিফুল আছে ফাস্ট বোলিং ইউনিটে। সব মিলে ভালো একটি পেস বোলিং ইউনিট।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাসকিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সিনিয়র বোলার হিসেবে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। নাহিদ রানা আর হাসান মাহমুদ তাকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে। রানা খুবই তরুণ। মাত্র শিখছে। হাসানও তরুণ। তারও এখন ওপরে ওঠার সময়। সব মিলে ফাস্ট বোলিংয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ খুব ভালো।’

সকলেই রানাকে প্রশংসায় ভাসালেও সুজন তা না করার কারণও জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হয়, নাহিদ রানা ও হাসান দুজনই বয়সে নবীন। দারুণ কাজ করছে। দলে অবদান রাখছে। ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরানো, সমীহ জাগানো ও ব্রেকথ্রু দেওয়া সবই করে দেখাচ্ছে রানা ও হাসান। কিন্তু আমি মনে করি, এর চেয়ে অনেক ভালো কিছু করার সামর্থ্য আছে নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদের। ওরা এখনই ম্যাচ উইনার।’

Scroll to Top