২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাইকোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় কয়েক জেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট এই রায় দেন। এরপর বিভিন্ন জেলা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে মিষ্টিমুখ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দাবি করেন, মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন আসামি করে রাখা হয়েছিল, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ বাকি আসামিদের। নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কর্মীরা। পরে স্থানীয়দের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর বগুড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শহরের নবাববাড়ি সড়ক এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয় আনন্দ মিছিলটি। পরে সমাবেশে নেতারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগের মিথ্যা মামলার বিষয়গুলো ধীরে ধীরে প্রমাণিত হচ্ছে। দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিকেলে আনন্দ মিছিল বের করে বিএনপি। এতে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বক্তারা বলেন, এই রায়ের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক।
তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেয়ায় খুলনায় মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সন্ধ্যায় আনন্দ মিছিল হয়েছে। মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলটি কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে পিকচার প্যালেসসহ নগরী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়।
এদিকে, বাগেরহাটেও আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শহরের পুরাতন বাজার এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তারা। পরে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপিআনন্দ মিছিল করেছে। রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের নতুন বাজার দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনানী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।