বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মৈত্রী ও বন্ধুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা করছে ভারত সরকারের ও তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরমধ্যেই আগামী ১২ নভেম্বর দুপুরে কলকাতার সি আর এভিনিউ থেকে পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ উপ রাষ্ট্র দূতাবাস পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গোবর্ধন গিরি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি সনাতনী সেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নির্দেশে কলকাতা পুলিশ সেই বিক্ষোভ মিছিলের কোনো অনুমতি দেয়নি।
কলকাতা পুলিশ অনুমতি নাকচের বিষয়ে গণমাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিক্ষোভ মিছিলের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ অনুমতি নামঞ্জুর করায় গোবর্ধন গিরি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশে সনাতনী ধর্মালম্বী মানুষের ওপর নিপীড়ন ও অত্যাচার চলছে। এসবের বিরুদ্ধে আগামী ১২ নভেম্বর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল।
সেই পদযাত্রার অনুমতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গোবর্ধন গিরি চ্যারিটেবিল ট্রাস্ট। মামলা দায়েরে অনুমোদন দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামীকাল ৮ নভেম্বর শুক্রবার সেই মামলার শুনানি শুরু সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ধারণা, এই মিছিলকে ঘিরে কলকাতায় সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক মৈত্রী ও সুসম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
এজন্যই কলকাতা পুলিশ দেশের সম্মান ও মৈত্রী সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে গোবর্ধন গিরি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রতিবাদ মিছিলে অনুমতি নামঞ্জুর করেছে। তবে এখন দেখার বিষয় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি এই মামলার শুনানিতে কি নির্দেশনা দেন।