সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছে ততই বাগেরহাটের মোংলাসহ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলজুড়ে হচ্ছে বৃষ্টি। নদীসংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে নতুন করে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
জানা যায়, প্রতি বছরই কমবেশি ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মোকাবেলা করে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয়বাসী। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষত যেতে না যেতেই আবারো ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্ক বিরাজ করছে নদীসংলগ্ন উপকূলবাসীর মধ্যে। বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে রয়েছেন তারা।
এ দিকে, ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মোংলা বন্দরসহ উপজেলা প্রশাসন। বন্দরে জারি করা হয়েছে অ্যালার্ট-১, জেটি এলাকায় নোঙর করেছে নৌবাহিনীর যুদ্ধের জাহাজসহ বেশ কয়েটি নৌযান। পণ্যবোঝাই বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নিরাপদে শক্ত অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। নিরাপদে থাকার জন্য ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল কলেজের পাকা ভবন ও শুকনো খাবার প্রস্তুত করে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে মোংলা বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। এছাড়া ঝড় মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মোংলা বন্দরের ওপর আঘাত হানলে মানুষদের সংকেত দেয়া, উদ্ধার, আশ্রয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য মেডিকেল টিমসহ ১৩২০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।