রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে চক্রান্তের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না: ফুয়াদ

রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে গণঅভ্যুত্থান বিরোধী কোনো চক্রান্ত করার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় শত্রু চিহ্নিত করে ফেলেছে। এ দেশের চিহ্নিত জাতীয় শত্রু হচ্ছে, ভারত ও তার তাবেদার আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর চৌদ্দ দল ও জাতীয় পার্টি। আর খুনি হাসিনার অন্যতম দোসর এই অবৈধ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন ফুয়াদ।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এবি যুবপার্টি এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, আব্দুল বাসেত মারজান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে গণভবন ছেড়ে পালিয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আইডল শেখ হাসিনা। এখন এই অবৈধ রাষ্ট্রপতি পলাতক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র খুঁজছেন। তার সব মন্তব্য ও প্রচেষ্টা পতিত ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের রক্ষা ও পুনর্বাসন করা। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, চিহ্নিত জাতীয় শত্রুদের কেউ পুনর্বাসন করার দুঃসাহস দেখালে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধর অনুসারীরা আবার জীবন দেবে, রক্ত দেবে কিন্তু তাদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ দেবে না। কীভাবে দেশকে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হয় তা জীবন দিয়ে শিখে ফেলেছে জনগণ। এই দেশ নিয়ে আর কাউকে চক্রান্ত করার সুযোগ দেয়া হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, স্বৈরাচার ও খুনির দোসর শাহাবুদ্দিনকে আমরা আর এক মিনিটও বঙ্গভবনে দেখতে চাই না। শহীদের রক্তের দাগ না শুকাতেই যারা চক্রান্ত শুরু করেছে তাদের চেয়ারে বসে আরাম আয়েশ করার সুযোগ নেই। তার স্থান কারাগার।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এবিএম খালিদ হাসান, এবি যুবপার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন রমিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাহমুদ আযাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা।

আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব সেলিম খান, গাজী নাসির, আব্দুল হালিম নান্নু, শফিউল বাশার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবপার্টির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক আহমেদ, নাসির উদ্দিন গালিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব, মাসুদুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, পল্টন থানার আহ্বায়ক ইমরান হোসেন শিবলুসহ এবি যুবপার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

Scroll to Top