হারিকেন মিল্টনে লন্ডভন্ড ফ্লোরিডা, নিহত ১৬

স্মরণকালের ভয়াবহ হারিকেন মিল্টনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়বে। এমনটা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কি-তে ঘণ্টায় ১২০ মাইল বেগে হামলে পড়া ৩ নম্বর ক্যাটাগরি হারিকেন মিল্টনের আঘাতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন উপকূলবর্তী এলাকার ৩০ লাখের বেশি বাসিন্দা। অনেক ঘরবাড়িও বিধ্বস্ত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের তথ্য পর্যবেক্ষক পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএস।

ফ্লোরিডা জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কেভিন গুথরি বলেছেন, হারিকেনটি স্থলভাগে আঘাত হানার আগেই প্রায় ১২৫টি বাড়ি লন্ডভন্ড করে দেয়। এর মধ্যে অনেকগুলো বাড়ি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানায়, বুধবার রাতে স্থলভাগে আঘাত হানে হারিকেনটি। এসময় কিছুটা দুর্বল হয়ে ২ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় মিল্টন। এটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ মাইল (১৭৫ কিলোমিটার), যা ঘণ্টায় ১৬ মাইল (২৬ কিলোমিটার) বেগে পূর্ব ও উত্তর–পূর্বে অগ্রসর হচ্ছিল।

এদিকে, গতকাল সকালে হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ফ্লোরিডায় উপদ্রুত এলাকার খোঁজখবর নেয়ার পর এক বিবৃতিতে হতাহত ও ক্ষতির শিকার হওয়া লোকজনের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন এবং উদ্ধার ও পুনর্বাসনে ফেডারেল সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, হারিকেন হেলেনের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই অঙ্গরাজ্যটি আবারও দুর্যোগের মুখে পড়লো। ওই ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, দক্ষিণ ক্যারোলিনা, টেনেসি, ভার্জিনিয়া ও উত্তর ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে অন্তত ২২৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Scroll to Top