ইহুদিবাদী ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির মতো ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় এসেছে পুরো ইসরায়েল। রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, মঙ্গলবার রাতের হামলা ইরানের সামর্থ্যের ‘ঝলক’ মাত্র। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন না।
এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের ‘বৈধ অধিকারে’র ওপর ভিত্তি করে ‘ইরান এবং এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা’র উদ্দেশ্যে, ‘ইরানের স্বার্থ ও নাগরিকদের রক্ষায় ইসরায়েলকে ‘অবধারিত’ জবাব দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশে পেজেশকিয়ান বলেন, তার অবশ্যই জানা উচিত, ইরান যুদ্ধবাজ নয়, তবে যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে।
এদিকে, আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আত্মরক্ষার তাগিদে তারা এই হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই আইআরজিসি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু’।
আইআরজিসি পরিষ্কার করে বলেছে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি’র ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরুশানের শাহাদাতের বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আইআরজিসি বলেছে, আমরা অধিকৃত ভূখণ্ডের হৃদপিণ্ডে আঘাত করেছি।
আইআরজিসি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি কোনো রকমের প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আরো মারাত্মক হামলা চালানো হবে।