ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক হলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার একটি প্রেস ব্রিফিং করে তদন্ত প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা হবে।
ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের ওই যুবককে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। তোফাজ্জলের বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে ফজলুল হক হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে ধরে শিক্ষার্থীরা। আটকের পর রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর আবারও মারধর করা হয়। দীর্ঘ জেরায় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপসম্পাদক জালাল আহমেদসহ হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধর করছেন।
তোফাজ্জলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
ভোর সাড়ে ৪টায় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে যান। সেখান থেকে পরে হল প্রাঙ্গণে এসে হলের বিভিন্ন এরিয়ায় ঘুরে দেখেন। হলের পুরান ভবনের গেস্টরুম ও এক্সেসটেনশনের গেস্টরুম, যেখানে ভুক্তভোগীকে মারা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে দুটি রুম সিলগালা করে দেয়।