মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবীর পার্থক্য

মাহে রবিউল আউয়াল। নবীজির জন্ম ও মৃত্যুর মাস। মহিমান্বিত এ মাসেই নবীদের সরদার, সর্বশেষ নবী এ পৃথিবীতে আগমন করেন। আবার এ মাসেই তিনি ইন্তিকাল করেন। ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কাছে গুরুত্ববহ মাস রবিউল আউয়াল। এ মাসে মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবী সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন।

মিলাদুন্নবীর অর্থ হলো নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লামের জন্ম আলোচনা। আর সিরাতুন্নবীর অর্থ হলো নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী আলোচনা। রসুল (সা.) এর ৬৩ বছরের জীবনচরিত পাওয়া যায় সিরাতুন্নবীতে।

মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবীর মধ্যে পার্থক্য হলো, মিলাদুন্নবী পালন করলে তাতে শুধু নবীজীর জন্ম আলোচনা পাওয়া যায়। নবীজীর ৬৩ বছরের আলোচনা পাওয়া যায় না। আর সিরাতুন্নবীর আলোচনা করলে তাতে শুধু জন্ম আলোচনা নয় বরং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লামের পুরো ৬৩ বছরের আলোচনা পাওয়া যায়।

মিলাদুন্নবী তথা নবীজির জন্ম এটা পালনীয় না হলেও সিরাতুন্নবী পালন করার অর্থ হলো, নবীজির পুরো ৬৩ বছরের জীবন-কর্ম অনুসরণ করা, নবীজির আদেশ নিষেধ সম্পর্কে আলোচনা করা, ও মেনে চলা।

ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে কী বুঝায়?

অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আঁধারের বুক চিড়ে মহানবি (সা.) সুখ-শান্তি কামিয়াবি ও রহমতের বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন। মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতার ও ন্যায়ের দিকনির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলেন।

‘ঈদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ খুশি হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উদযাপন করা ইত্যাদি। আর ‘মিলাদ’ শব্দের অর্থ জন্মতারিখ, জন্মদিন, জন্মকাল ইত্যাদি। তাই ‘মিলাদুন্নবি’ (সা.) বলতে নবিজির আগমনকে বোঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ (সা.) বলতে নবি করিম (সা.)-এর আগমনে আনন্দ উদযাপন করাকে বোঝায়।

Scroll to Top