ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্ণ হলো আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষ্যে অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আজ ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের পক্ষ থেকে সকলকে এই শহীদি মার্চ পালনের আহ্বান জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ভাইদের স্মরণে এবং তাদের স্মৃতি ধারণ করে আজ সারাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হবে। সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরকেও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান সমন্বয়করা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, আজ দুপুর ৩টায় ঢাকায় ‘শহীদি মার্চ’ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
এতে যারা অংশ নেবেন, তাদের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, আপনারা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, তা ব্যানারে লিখে নিয়ে আসবেন। এছাড়া, কীভাবে সংবিধান বা দেশের উন্নয়ন করা যায়, সেগুলোও ব্যানারে লিখে আনার পরামর্শ দেন তারা।
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুপুর ২টায় শহীদি মার্চ শুরু হবে। যাবে পুরান ঢাকা ঘুরে যাত্রাবাড়ি। আর ঢাকা কলেজ মার্চ করবে তাদের ক্যাম্পাস থেকে, সকাল সাড়ে ১১টায়।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-নির্যাতনের একপর্যায়ে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেয়।