গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর রাজধানীর আদাবর থানায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলার ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে। জাতীয় দলে খেলা সাকিবের সতীর্থদের কেউ কেউ এটিক মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক বলছেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব আল হাসানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে। বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সময় কথা হলেও হঠাৎ এক সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করেন, সাকিবের নামে হওয়া হত্যা মামলার কী হবে?
তখন প্রশ্নকারী সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাকিবকে নিয়ে বলছেন? ফুটবলার আমিনুলের সময় চুপ ছিলেন কেন?
এ সময় আসিফ নজরুল বলেন, সাকিবের যা অর্জন, তা ব্যক্তিগত। কিন্তু আমিনুল দেশের জন্য শিরোপা এনেছেন। অথচ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিনের পর দিন তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাকিবকে তো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তার নামে কেবল মামলা হয়েছে। দেশে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না বলেও ইঙ্গিত দেন আইন উপদেষ্টা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলায় দীর্ঘ মেয়াদে কারাগারে থাকতে হয়েছে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের একমাত্র সাফজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।