বাংলাদেশের পদ্মা অববাহিকায় আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা নেই। ফারাক্কার বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ার পরেও তা দিয়ে খুব বেশি পানি আসবে না। ফারাক্কার উজানে গঙ্গা অববাহিকায় বৃষ্টি বাড়লেও তা স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।
অন্যদিকে ফেনী ও কুমিল্লায় এবং উজানে ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি কমে এসেছে। এতে পানি কিছুটা বাড়লেও তা খুব বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে না। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আগামী পাঁচ দিনের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২৯ ও ৩০ আগস্টের মধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। উজানে ভারতের ত্রিপুরাতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে ওই এলাকার নদ–নদীর পানি আবার বাড়তে পারে। এতে এসব অঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফলে কয়েক দিনের জন্য কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, বাংলাদেশে পদ্মার উজানে ভারতের গঙ্গা অববাহিকায় বৃষ্টি হলেও তা স্বাভাবিক মাত্রায় হচ্ছে। এতে পানি বাড়লেও তা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না। ফলে পদ্মাতীরবর্তী এলাকায় এ সময়ে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের কুমিল্লা–ফেনীতেও আপাতত বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কাছে বাংলাদেশ অংশে পদ্মার পানি বিপৎসীমার দেড় মিটার নিচে ছিল। আর পানি প্রতিদিন কয়েক সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। ফলে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই।
পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন নদ–নদীর ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে ২৪টিতে পানি বাড়ছে। আর কমছে ৮৮টি পয়েন্টে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারা, গোমতী ও মাতামুহুরী নদীর পানি। তবে সেখানেও পানি কমছে।
বন্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের কুমিল্লা ও ফেনী–নোয়াখালীর নদ–নদীর পানি নামার পথে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। অনেক এলাকায় বাঁধ উপচে পানি কয়েক ঘণ্টার জন্য বসতি এলাকায় প্রবেশ করছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।