গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা হচ্ছে, সেগুলো ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী সারা হোসেন।
তিনি বলেছেন, “এসব মামলা টিকবে না। এমনকি প্রথম ধাপও পার হতে পারবে না।”
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এক নাগরিক সংলাপে সারা হোসেন এসব কথা বলেন। ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’–এর উদ্যোগে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, “বিগত দুই সপ্তাহ ধরে নানা ধরনের মামলা দেখা যাচ্ছে। কোনওটিতে ৩০, ৪০ ও ৫০ জনের বেশি করে আসামি। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপই পার হতে পারবে না। মামলাগুলো আন্দোলন ও আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “এই মামলা কি পুলিশ করছে? সৎভাবে করছে? বুঝে করছে?”
মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সারা হোসেন বলেন, ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইনে এখনও মামলা হচ্ছে এবং কিছুদিন ধরে তা আবার দেখা যাচ্ছে। নতুন স্বাধীনতায় ব্রিটিশ আমলের আইন টেনে আনা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তত ৮০ শিশু নিহত হয়েছে জানিয়ে সারা হোসেন বলেন, এই শিশুদের নিহত হওয়ার ভিডিও ফুটেজ যদি কারও কাছে থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে এগোতে হবে। আদালতকে সুযোগ দিতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। পাশাপাশি দ্রুত বিচার আইন ছাড়া এ অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের বিচারের মামলা কার্যক্রম সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ আসতে হবে। তাহলে নিশ্বাস ফেলা যাবে এবং দেশ গঠনের কাজে নামা যাবে।