পার্থকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এইচপি

শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ৩৬ রান। হাতে ৪ উইকেট। উইকেটে ছিলেন শামীম হোসেন ও মাহফুজুর রহমান। ডারউইনে পার্থ স্করচার্সের ১৩০ রানের লক্ষ্য তখন অনেক বড়ই মনে হচ্ছিল।

তবে মাহফুজুরের ১৩ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দল(এইচপি)। এ জয়ে ৯ দলের টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি সিরিজের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে এইচপি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামীকাল পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলবে এইচপি।

পার্থের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও যথারীতি ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার তানজিদ হাসান। ৫ বলে করেছেন ১ রান। আরেক ওপেনার জিশান ২৬ বলে ২৬ রান করে রানআউটে কাটা পড়েছেন। ব্যাটিং অর্ডারে তিন ও চার নম্বরে খেলা যথাক্রমে পারভেজ হোসেন ও আরিফুল ইসলামও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এদিন একাদশে জায়গা হয়নি আফিফ হোসেনের। টুর্নামেন্টে টানা ৫ ম্যাচেই ব্যর্থ অভিজ্ঞ আফিফ; তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৭।

আজ অধিনায়ক আকবর আলী ৩৩ বলে ৩৫ রান করে এইচপিকে আশা দেখান। তবে তিনি যখন আউট হন, তখনো এইচপির প্রয়োজন ছিল ৩২ বলে ৫৩ রান। এই সমীকরণ মিলিয়ে এইচপিকে জয় এনে দেন মাহফুজুর। ১৭ বলে ১৬ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন শামীম। যদিও ১৯তম ওভারে আউট হয়েছেন এই বাঁহাতি।

পার্থকে ১৩০ রানের মধ্যে আটকানোর কৃতিত্বটা এইচপির সব বোলারের। আজ বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মণ্ডল ও রকিবুল হাসান। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন পেসার আবু হায়দার। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। তিনি ছাড়া অন্য বোলারদের ইকোনমি রেট ছিল ৭–এর নিচে।

Scroll to Top