ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষিত রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েন করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলে, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইরানের হুমকির পর ইসরায়েল সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউএসএস জর্জিয়া গাইডেড মিসাইল সাবমেরিনকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন ক্যারিয়ার স্টাইক গ্রুপকেও সেখানে মোতায়েন করেছেন। এই জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক এফ-থার্টি ফাইভ জঙ্গিবিমান রয়েছে, যা মার্কিন সামরিক শক্তির এক উল্লেখযোগ্য অংশ।
ওমান উপসাগরে ইতোমধ্যে মার্কিন রণতরী ইউএসএস রুজভেল্টসহ অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, চলতি সপ্তাহে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং বলেছেন, ইরান যে কোনো সময় ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ করতে পারে।
কিরবি আরও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত থাকতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানো যায়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন যে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে, তারা চায় না যে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ুক বা ইরান ও তার সহযোগীরা কোনো আক্রমণ চালাক।