শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে এই সরকার গঠন হবে। যেই সরকারের আকার হতে পারে ১৫ সদস্যের। তবে ইউনূস বাদে এখনও বাকিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে ড. ইউনূসের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ অন্তত ৩ বছর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘ড. ইউনুসের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ অন্তত ৩ বছর হওয়া উচিত।’
এর কারণ উল্লেখ করে নিপুণ লেখেন, ‘করাপ্টেড সিস্টেম রিফর্ম করার জন্য। না হলে সিস্টেমের কোণায় কোণায় ভূত থেকে যাবে। আর বাকি সবাই লুটেপুটে খাবে।’
আশফাক নিপুণের এমন মন্তব্যের সঙ্গে ভক্তরাও একমত পোষণ করেছেন। একজন লিখেছেন, হ্যা মেয়াদ একটু বেশি দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। নয়তো এক সিন্ডিকেট থেকে আরেক সিন্ডিকেট আসবে, তাতে ভূত থেকেই যাবে। আবার কেউ লিখেছেন, আমি চাই ৫ বছর থাকুক। ৫ বছর থাকলে দেশের হুকুমত সিষ্টেম চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে ঢাকায় হাজারো ছাত্রজনতার ঢল নামে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করার দাবি ওঠে।
সেই দাবির প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগৃহীত