কোটা আন্দোলনে বিক্ষোভে সংঘাত ও রক্তপাতের পর শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে দেশের আটটি বিভাগের সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৮টি বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের আওতায় পড়ে এমন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণিকার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
কোটা আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সোমবার (১৫ জুলাই) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
গতকালও দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরকার–সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে কোথাও কোথাও। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে তিনজন, রাজধানীতে দুজন এবং রংপুরে একজনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা চার শতাধিক।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল বিকেলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।
এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।