12party

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ১২ দলীয় জোটের

কোটাবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস ও বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ১২ দলীয় জোটের

সোমবার রাতে অবৈধ আওয়ামী সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বর্বর ও নৃশংস হামলায় ৫০০ শতাধিক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী আহতদের ঘটনায় গভীর নিন্দা উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের চিন্তাজগতের মূল লক্ষ্য বৈষম্যহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা। তাদের এই আদর্শগত আন্দোলনের গতিবেগ যখন দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে তখন সরকার মতাদর্শিক বুদ্ধিহীনতায় জাতিকে বিভক্তকরণের আত্মঘাতী খেলায় নেমেছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে সরকার রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদ এবং আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে আলোকিত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলনরত নতুন প্রজন্মের ছাত্রদের উদ্দেশে সরকারের ধৃষ্টতাপূর্ণ, অপরিণামদর্শী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। ভোটের অধিকার, নিরাপদ সড়কের অধিকার, চাকরির অধিকার, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিয়ে যারাই বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছে; তাদের এবং প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা সরকারের রাষ্ট্রীয় অপরাধ।

নেতারা বলেন, ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রক্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রক্তাক্ত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে তাদের। হামলায় আহত হয়েছেন ৫০০ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগের এই বর্বর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি।

১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষের নামে প্রজন্মের মধ্যে বিভক্তি রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়।

তারা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই বিভক্তিকে উস্কে দিয়ে আসলে দেশকে কোথায় নিতে চাচ্ছেন? আসলে কি এই বিভক্তির মধ্য দিয়ে সরকার প্রধান দেশের সকল লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর দেশবিরোধীদের আড়াল করতে চাচ্ছেন। এই ইস্যু কি সরকার, দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ বয়ে আনবে।

জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম আঘাত করতে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে এবং এ সকল পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সাথে যে সকল সন্ত্রাসী জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

জোট নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থনের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মাস্টার এম এ মান্নান ও প্রগতিশীল ন্যাশনালিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ফিরোজ মাহমুদ লিটন।

Scroll to Top