‘আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে দুর্নীতির মহাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতকারীদের অর্থ লুটে নেয়ার জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটকে পুঁজি করে এ খাতে লুট ও দুর্নীতি নিশ্চিত করার জন্য আইন করে কয়েকটি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে পুরো খাত।’
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের গতিমুখ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডাভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদ নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা এবং জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব। সভা সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘বেনজীর বা জেনারেল আজিজের দুর্নীতির দায় প্রতিষ্ঠান বা ওই বিভাগ নেবে না। কিন্তু সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আজিজ-বেনজীরদের স্বেচ্ছাচারিতার ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ দেয়া হয়েছে।
তাদের নেতৃত্বে যেভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করে দেশকে একটি অকার্যকার রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যেমে চমক দেয়ার জন্য এবং জনগণের সামনে ‘আইওয়াশ’ হিসেবে কিছু দুর্নীতির বিচারের মহড়া দিচ্ছে। এভাবে সরকারের সুবিধা অনুযায়ী কিছু দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়া চলবে।
এই বিচার প্রক্রিয়া কতদিন টিকে থাকবে সেটা নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় আছে। কেননা এদের সহযোগিতা নিয়েই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।’