ফরিদপুরে কুমার নদে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার ৩১ ঘণ্টা পর কলেজছাত্র ফারদিন ইসলামের (১৮) লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ফারদিনের লাশ ভেসে উঠতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে নৌকার করে লাশটি পাড়ে এনে শহরের কমলাপুর মহল্লার বালুর মাঠ এলাকায় তাঁর বাড়িতে নেওয়া হয়।
গত বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক বন্ধুর সঙ্গে শহরের মদনখালী এলাকার স্লুইসগেটে গোসল করতে গিয়ে কুমার নদে ডুবে নিখোঁজ হন ফারদিন। এরপর ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বুধবার সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা ও গতকাল সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও নিখোঁজ ফারদিনকে উদ্ধার করতে পারেনি। ডুবুরি দল গতকাল রাত আটটা উদ্ধার অভিযান ওই দিনের মতো সমাপ্ত করে চলে আসে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে ডুবুরিদের আবার উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার কথা ছিল।
ফারদিন নদের যে জায়গায় ডুবে গিয়েছিলেন, প্রায় সেই জায়গাতেই তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। তাহলে ডুবুরিরা কেন লাশ পেলেন না—জানতে চাইলে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ই বলেন, ওই জায়গায় একটি ঘূর্ণি স্রোত ছিল। তা ছাড়া নিচে বড় বড় সিমেন্টের ব্লকে ছিল বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ। সমতল জায়গায় যেভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যায়, সে পরিবেশ ওখানে ছিল না। মৃতদেহটি আস্তে আস্তে ফুলে ভেসে ওঠে এবং ঘূর্ণি স্রোতের কারণে হয়তো ডুবে যাওয়া জায়গায় কাছাকাছি চলে এসেছিল।
ফারদিন ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার বালুরমাঠ এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সিরাজুল ইসলাম কুয়েতপ্রবাসী। বর্তমানে তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আছেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ফারদিন দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই হৃদয় ইসলামও (২৫) কুয়েতপ্রবাসী। ছোট বোন ফারিয়ার বয়স আট বছর। ফারদিন ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা মহল্লার সরকারি ইয়াসিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পাস করেন।