যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগে অন্তত ১১ মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে।
বুধবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইরান আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তারা ইরানি অর্থ ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং সিস্টেমে লেনদেন করতে পারবেন না। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে এবং তাদেরকে ইরানে প্রবেশের ভিসা দেওয়া হবে না।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন-
১. উইলিয়াম বিলি হিচেনস, জর্জিয়ার জননিরাপত্তা বিভাগের কমিশনার।
২. এডি গ্রিয়ার, জর্জিয়ার ফিল্ড অপারেশনের কমান্ডিং অফিসার।
৩. লিন্ডা জে. স্টাম্প-কার্নিক, ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা পুলিশ বিভাগের প্রধান।
৪. পামেলা এ. স্মিথ, কলম্বিয়া জেলার মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের প্রধান।
৫. জেফরি ক্যারল, নির্বাহী সহকারী প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ।
৬. কার্ল জ্যাকবসন, নিউ হ্যাভেন পুলিশ বিভাগের প্রধান।
৭. শেন স্ট্রিপি, ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস পুলিশ বিভাগের সহকারী প্রধান।
৮. মাইকেল কক্স, বোস্টন পুলিশ বিভাগের কমিশনার।
৯. স্কট ডানিং, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি পুলিশ বিভাগের কেন্দ্রীয় বিভাগের প্রধান।
১০. মাইকেল থম্পসন, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পুলিশ প্রধান।
১১. জন ব্রকি, সিএএল স্টেট লং বিচ পুলিশ বিভাগের পুলিশ প্রধান।
তেহরান জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তারা ইরানি অর্থ ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং সিস্টেমে লেনদেন করতে পারবেন না। তাদের ইরানে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং ইরানের ভিসা দেয়া হবে না।
এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল।
ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার গাজাবাসী।
চলমান এ গণহত্যা শুরুর পরপরই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু সেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালায় পুলিশ-প্রশাসন।
টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, উটাহ, ভার্জিনিয়া, নিউ মেক্সিকো, নিউ জার্সি, কানেক্টিকাট ও লুজিয়ানার ক্যাম্পাসগুলো থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত হয় অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষক।