অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। চলমান এই আন্দোলন চলছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও (শেকৃবি)। সকল একাডেমিক ও প্রসাশনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাওয়ার ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান এ সমস্যার ফলে আবারও বড় আকারে সেশনজট, চাকরির বাজারে পিছিয়ে পরার ভয় জেগেছে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তারা বলছেন, করোনার ফলে তারা ইতোমধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে সেশনজটে। এখন আবার এ বন্ধ তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। সময় মতো শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া নিয়ে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, আমরা করোনার থাবায় এক বছরের বেশি সময় পিছিয়ে আছি। এখন শেষ বর্ষে এসেও যদি আবার আটকা পড়ি, তাহলে তো চাকরির বাজারেও পিছিয়ে পড়বো। আমরা যে এতোটা পিছিয়ে গিয়েছি আমাদের এই ক্ষতির দায়ভার নিবে কে? আমাদের কী হবে? এইভাবে পিছিয়ে পড়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমরা। আমাদের পড়াশোনা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল নাহিয়ান বলেন, ‘একজন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে আসন্ন শিক্ষক ফেডারেশন এর কর্মসূচি নিয়ে আমি আতঙ্কিত। আসন্ন কর্মসূচি আমাদের ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে পতিত হবে বলে মনে হচ্ছে।’
শেকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আসলে আমরা শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারব না। যেহেতু এখন পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা আছে সেহেতু বন্ধই রাখতে হবে।
সেশনজট নিরসনে কোন ব্যবস্থা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে ব্যাপারেও ফেডারেশন থেকে নির্দেশনা দিবে। তবে অবশ্যই সেশনজট কাটিয়ে উঠতে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।