ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান এবার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন। গতকাল মঙ্গলবার মোস্তাফিজুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২৬ জুন এই মামলায় দুই পলাতক আসামি ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।
তদন্তে আরো যা পেয়েছে ডিবি : আনার হত্যায় অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীন সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ডিবি। বিদেশে পালানোর আগে ওই বাসায় হত্যা পরিকল্পনার পাশাপাশি এলাকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করতেন তিনি। গতকাল গোয়েন্দা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
ডিবির ভাষ্য, ঢাকার একটি বাসায় শাহীনের মদের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই বাসায় তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আড্ডা দিতেন। এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীও নিয়ন্ত্রণ করতেন।
সর্বশেষ এমপি আনারকে ভারতে হত্যার পর নিষিদ্ধঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ চরমপন্থী নেতা শাহীন ভুঁইয়াসহ তাঁর সন্ত্রাসী দলের সদস্যরাও ওই বাসায় আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁরা মদ পান করেন। পাহাড়ে পালানোর আগে শাহীনের সহযোগী মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীও ওই বাসায় উঠেছিলেন। সেখানে বেশ কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর নিজেদের পাসপোর্ট ওই বাসায় রেখে পালান তাঁরা।
চিকিৎসা ভিসায় ভারতে যান মোস্তাফিজ ও ফয়সাল : ডিবি সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যার জন্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল চিকিৎসা ভিসায় ভারত যান।
তাঁদের ভিসা পেতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ যাবতীয় কাজ করে দেন আখতারুজ্জামান শাহীন।