ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার একটি মহল্লায় গত ২৮ জুন ধর্ষণের পর হত্যা করে পাটক্ষেতে কিশোরীর (১৫) মরদেহ ফেলে যাওয়ার ঘটনার জট খুলেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ দাবি করেছে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে একই মহল্লার বাসিন্দা কিশোরীর চাচাতো ভাই এক কিশোর (১৬)। পুলিশ ২৯ জুন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৮ জুন বিকেল ৫টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার একটি মহল্লায় ওই কিশোরী বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময়ে তার চাচাতো ভাই (১৬) পুকুর পাড়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে মোবাইলে পর্ণ ছবি দেখানোর লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে পুকুরের পাশে থাকা পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে পর্ণ ছবি দেখানোর পর তাকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। এরপর বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করে সে।
পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম জানান, ওই কিশোরী তার চাচাতো ভাইকে জানায় তাকে ধর্ষণের কথা সে বাড়িতে বাবা-মাকে বলে দেবে। ওই কিশোর বারবার তাকে এ কথা বলতে নিষেধ করে। কিন্তু কথা না শোনায় পড়নের ওড়না দিয়ে কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের রেললাইন ধরে বাড়িতে চলে আসে ওই কিশোর।
পুলিশ সুপার জানান, এমন একটি পাশবিক ঘটনা ঘটিয়ে বাড়িতে এসে ওই কিশোর এ ঘটনা তার বাবা টুকু মাতুব্বরকে (৫০) জানায়। টুকু মাতুব্বর নিজের ছেলেকে তখন গালমন্দ করেন। এরপর ছেলেকে বাঁচাতে নাটক সাজান তিনি। ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতে ধানক্ষেত দেখতে যাওয়ার কথা বলে টুকু মাতুব্বর বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। এরপর সেখান থেকে দৌড়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে এসে তার মাকে জানান, তোমার মেয়ের লাশ পাটক্ষেতের মধ্যে পড়ে আছে। এরপর ওই কিশোরীর স্বজনরা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২৯ জুন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ওই দিনই অভিযুক্ত কিশোরকে তার বাড়ি থেকে আমরা গ্রেপ্তার করি।