ঘনিয়ে এসেছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। ৪ জুলাই ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে দেশটির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির। ব্রিটিশ ভোটাররা বেছে নেবেন তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে। তবে, এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বিশাল ভরাডুবি হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে প্রায় সবগুলো জরিপ।
গেল ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কনজারভেটিভরা। কিন্তু তাদের দীর্ঘ শাসনে ভোটাররা যে অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছেন, তা জরিপের পূর্বাভাসগুলোতেই যেন স্পষ্ট।
জরিপ বলছে, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ঐতিহাসিক জনসমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হতে চলেছেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার। বিপরীতে, প্রায় ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেতে পারে ঋষি সুনাকের দল।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইউগভের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ বলছে, পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪২২ থেকে ৪৫৬টি আসন পেতে পারে লেবার পার্টি। বিপরীতে, বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনে তারা ৭২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০টি আসনে জয়ের দেখা পেতে পারে, যা তাদের বর্তমান আসন সংখ্যা থেকে অনেক কম।
ফ্রান্সভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইপসসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ব্রিটিশ নির্বাচনে ৪৫৩ আসনে জিতে ইতিহাস গড়তে চলেছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, কনজারভেটিভরা পেতে পারে বড়জোর ১১৫ আসন। এই পূর্বাভাস সত্য হলে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরবে স্টার্মারের দল।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ‘পাকি’ সম্বোধন করেছে ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে দলের একজন সমর্থক। এতে চরম ক্ষেপেছেন সুনাক। ঘটনাটি একটি নিউজ চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে। একজন নির্বাচনী প্রচারণাকারীর রেকর্ড বক্তব্যে শোনা যায়, সুনাককে ‘পাকি’ সম্বোধন করছেন তিনি। ‘পাকি’ শব্দটি একটি অবমাননাকর শব্দ যা দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবহার হয়ে থাকে।
সুনাক, ব্রিটেনের প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কষ্টদায়ক। এতে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি।’
সুনাক আরও বলেন, ‘আপনি যখন রিফর্ম প্রার্থীদের এবং প্রচারণাকারীদের বর্ণবাদী এবং অপ্রীতিকর ভাষা ব্যবহার করতে দেখবেন তখন আপনার মনে সংস্কার পার্টির সংস্কৃতি সম্পর্কেই খারাপ ধারণা হবে।’