সাম্প্রতিককালে আর্থিক খাতের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি যে আর্থিক খাতের মূল সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। একটা মূল কারণ হলো পলিসি লিগ্যাসি—নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিছু ভুল।
নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা। সর্বশেষ এটার বাস্তবায়নের ব্যাপারে দুর্বলতা। অতএব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দুর্বলতা একটা বড় সমস্যা। সে জন্য যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় বা দেখা দিচ্ছে, আগেও দেখা দিয়েছে, অন্যান্য দেশেও দেখা দিয়েছে—এসব সমস্যা সমাধানে ফলপ্রসূ ও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি না।
আরেকটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো মুদ্রানীতি এবং সরকারের রাজস্বনীতির সমন্বয়।
সম্প্রতি বাজেট ঘোষণা হয়েছে। বাজেট নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, তাঁরাও মতামত দিয়েছেন; অর্থনীতিবিদিরা মতামত দিয়েছেন।
আমার মতে, মোটাদাগে বাজেটটা ব্যবসাবান্ধব হয়নি, জনবান্ধবও হয়নি। এটা বাজেটের দুর্বলতা। আমি মনে করি, এটা নীতির দিক থেকে দুর্বলতা। নীতির দর্শন এবং নীতির প্রণয়ন দিক থেকে দুর্বলতা।
তিনটি মূল সমস্যা যেটা আমরা দেখেছি, সেটা হলো মূল্যস্ফীতি, অপর্যাপ্ত রিজার্ভ এবং জ্বালানি সমস্যা—এগুলো সম্পর্কে বাজেটে প্রত্যক্ষভাবে তেমন কিছু কার্যক্রম দেখতে পাইনি।
এমনকি পরোক্ষভাবেও যে কিছু কার্যক্রম থাকবে, সেটাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একই সঙ্গে সবচেয়ে বড় একটা যোগ হয়েছে আর্থিক খাতের সমস্যা। ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেই।
এখন আসা যাক বাজেটের পলিসিগত দুর্বলতা প্রসঙ্গে। বাজেটে বিরাট ঘাটতি আছে। ঘাটতি পূরণে সরকারকে কর নিতে হবে বেশি। ঘাটতির জন্য সরকারকে ঋণ নিতে হবে। ঋণ অভ্যন্তরীণ সেক্টর থেকে নেবে। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বেশি নেবে। বৈদেশিক ঋণ নিয়ে আসবে। কর বাড়াবে, বিশেষ করে পরোক্ষ কর বাড়াবে। প্রত্যক্ষ কর হয়তো কিছু বাড়াবে। করের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। করের যে আদায় এবং কর যে কার কাছ থেকে নেবে—এগুলো সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেখতে পেলাম না। সাধারণত সব দেশে পরোক্ষ কর সবচেয়ে কম ওঠায়। কারণ পরোক্ষ করে ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু যারা ধনী, যারা অবস্থাপন্ন, সম্পদশালী, তারা প্রত্যক্ষ কর দেয়। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে, অর্থ আছে, আয় আছে, তারা দেবে। কিন্তু এটার কোনো কিছুই এখানে ফলো করা হয় না। অতএব ট্যাক্স বাড়াবে, নতুন করে লোকদের ওপর করের বোঝা বাড়বে। এতে কি ট্যাক্স জিডিপি বাড়বে? আমার তো মনে হয় না। কারণ এনবিআরের যে সক্ষমতা, উদ্যোগ ও মনোযোগ থাকবে যারা ট্যাক্স দিচ্ছে, তাদের দিকে।
এখন আসা যাক মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতির ব্যাপারে। আমার মনে হয়, মুদ্রানীতির সঙ্গে রাজস্বনীতির সমন্বয় নেই। কারণ মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক। বাজেট সম্প্রসারণশীল। কিছুটা খরচ বাড়বে, যদিও খুব বেশি বাড়ে না। বিরাট একটা বাজেট ঘাটতি আছে। সেই খরচটা কমাতে পারত যদি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আরো কাটছাঁট করে ছোট করে নিয়ে আসা যেত। বাজেটে যে করের হিসাব দিয়েছে, বিভিন্ন প্রণোদনা, সরকারের ঋণ গ্রহণ, সেগুলো মুদ্রানীতির সঙ্গে কিছুটা সাংঘর্ষিক।
এখন মুদ্রানীতিতে কী কী করা উচিত? ভবিষ্যতে কী করতে হবে? ভবিষ্যতে যেটা করতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রথমত প্রাথমিকভাবে খুব দ্রুত একটা পর্যালোচনা করতে হবে। মূল্যায়ন করতে হবে। আগের মুদ্রানীতির ইমপ্যাক্টটা কী? এটার জন্য খুব একটা যে সময় লাগবে তা নয়। মুদ্রানীতিটা কী কী কাজে লেগেছে, তাদের উদ্দেশ্য কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে। শুধু মুদ্রানীতিতে আবার কিছুটা টার্গেট দেবে, কিছু রিজার্ভ মানি টার্গেট, ক্রেডিট টার্গেট, পলিসি রেট—সেগুলো দিতে পারবে। কিন্তু এর আগে পর্যালোচনা করতে হবে, আগের টার্গেটগুলোর কী হয়েছে? এগুলোর ফল কী হয়েছে? আগের কৌশলগুলোর পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ গত মুদ্রানীতিতে আমরা তেমন সফলতা দেখিনি। এখন যেসব চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কথা বলছি, বাজেটের সময়ে যে বিষয়গুলো সামনে চলে এসেছে, বিভিন্ন বিষয় অ্যাড্রেস করতে হবে। এগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথমত যেটা হলো, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছি। যেটা আমরা বলছি, চাহিদাটাকে কমানো। চাহিদা যদি কমানো হয়, মূল্যস্ফীতি কমবে। পলিসি রেটগুলো পরিবর্তন করেছে, পলিসি রেটগুলো পরিবর্তন করলে বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে অর্থের সরবরাহ কমবে। সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। আমাদের সঞ্চয় বা ব্যাংকের জামানতকৃত টাকা কমে যাচ্ছে। ওই দিকে চাহিদা বাড়ছে। ফলে সুদের হার বাড়ছে। সুদের হারটা আগে নয়ছয় ছিল, সেটা মোটেও যুক্তিসংগত ছিল না। সেটা বাড়িয়েছে।
এখন ক্রলিং পেগ করেছে। ক্রলিং পেগ হলো একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ওঠানামা করবে। কিছুটা বেড়েছে হয়তো, রেমিট্যান্স কিছুটা বেড়েছে ইদানীং। ক্রলিং পেগে ক্রল করে তো বেশি কিছু হয়নি। বিভিন্ন দেশে ক্রলিং পেগের অভিজ্ঞতা তেমন ভালো নয়। ওপরে নামবে, নিচে নামবে। আমাদের মূল সমস্যা—ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে কেন ওঠানামা করছে? রিজার্ভ কেন কমে যাচ্ছে? বাইরে থেকে ফরেন কারেন্সি কেন আসছে না?
জ্বালানির ব্যাপারটা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়। কিন্তু জ্বালানির উপাদান তো আনতে হবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা, ডিজেল, পেট্রল আনতে হবে। সেগুলোর জন্য ফরেন রিজার্ভ কতটুকু দরকার, সেটা তো অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয় হবে।
এর জন্য মুদ্রানীতিতে যেটা দরকার, সেটা করতে হবে। খেলাপি ঋণ সম্পর্কে বাজেটে তো কিছুই তেমন বলেনি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো খেলাপি ঋণের ব্যাপারে একটার পর একটা ছাড় দিয়েই যাচ্ছে। আমি কিছুদিন আগে এক জায়গায় বলেছিলাম, ‘খেলাপি ঋণ একটা ব্যাবসায়িক মডেল হয়ে গেছে।’ এই মডেল একটা ভালো মডেলের বিকৃত রূপ। মডেল হবে ঋণ নেবে, ঋণ ফেরত দেবে। লোকজনের কর্মসংস্থান করবে। ঋণটা সুস্থভাবে আদায় করবে। ঋণটা শুধু ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হবে না, পুঁজিবাজারের ওপরে হবে। এগুলো কিছু নেই, কিছুই হয়নি। যারা ঋণখেলাপি, তারা ব্যাংক থেকে শুধু ঋণ নিয়ে নিচ্ছে, শোধ দিচ্ছে না। কিন্তু দিন দিন ওদের ব্যবসার প্রসার হয়তো ঘটছে। ব্যবসার প্রসার না ঘটুক, দিন দিন বিপুল পরিমাণে ওদের আয় ও সম্পদ বাড়ছে। এটা বাংলাদেশে অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কেউ বলে সারপ্রাইজ, কেউ বলে মিরাকল। আবার কেউ বলে বাংলাদেশ একটা আদর্শ। ব্যাংকিং মহলে এই আদর্শ বা মিরাকলের ব্যাপারটা অনেক ক্ষুণ্ন করেছে খেলাপি ঋণ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতটাকে আমূল সংস্কার করতে হবে। খেলাপি ঋণ কী কারণে হচ্ছে? ব্যাংকের সুশাসন কেন হচ্ছে না? বাংলাদেশে কিন্তু এ ব্যাপারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। মুদ্রানীতি শুধু টার্গেট দিয়ে হবে না। কী কী করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, কী কী ব্যাংক করবে—সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।
মুদ্রানীতি ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট সম্পর্কে সুচিন্তিত এবং বাস্তবসম্মত নীতি ও কৌশল দেবে, এটাই কাম্য। আমাদের ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্ট নেগেটিভ, ফলে সামষ্টিক অর্থনীতি চাপের মুখে আছে। ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্ট মানে সেখানে দেশে বিভিন্ন উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। অতএব ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্ট ইমপ্রুভ করতে হলে বাইরে থেকে অর্থ, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, পুঁজিবাজারে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে।
আমি মনে করি, মুদ্রানীতি এবার ফরেন রিজার্ভ এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ সম্পর্কে পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে প্রণয়ন করতে হবে। কী কী পদক্ষেপ থাকবে এবং ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্ট ডেভেলপ করার কৌশল থাকবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটটাকে আলাদা করে দেখতে হবে। এক্সচেঞ্জ রেটটাকে শুধু রেমিট্যান্স আনার ব্যাপারে নয়, আমদানি-রপ্তানি, বিনিয়োগ সহায়ক করতে হবে। মার্কেট মনিটর করতে হবে।
একটি বড় জিনিস হলো মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে। টাকাটা কনভার্ট করে ব্ল্যাক মার্কেট থেকে অথবা কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কিনে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা নানা রকমভাবে অর্থ পাচার করে, হুন্ডি করে, তাদের ধরতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। বিষয়টা শুধু মুদ্রানীতির ব্যাপার নয়, আর্থিক খাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা দূর করতে সরকারকে এ ব্যাপারে অতিসত্বর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেষের দিকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমি বলব, আইএমএফ তৃতীয় কিস্তি দেবে বলেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আবার বেশ কিছু অর্থ ঋণ দেবে। আইএমএফের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে অনেক কিছু শর্ত দিয়েছে, রিজার্ভ বাড়েনি, ব্যাংকিং সংস্কার করেনি, ট্যাক্স জিডিপির রেশিও বাড়েনি, কিন্তু আইএমএফ বলছে, কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানে এসব ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন, বিশেষ করে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি; এরা কথাবার্তা বলে, শর্ত দেয়, চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারাও ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরোক্রেটিক অর্গানাইজেশনের মতো। আমাদের সরকারের লোকজন যেমন কাজ করে, আইএমএফের লোকজনও তেমন কাজ করে। ওখানে যারা চাকরি করে, তাদের তেমন কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। আইএমএফ দিয়েছে বা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দিচ্ছে; এটা আত্মতৃপ্তির কোনো বিষয় নয়। এটা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক যদি বাহ্বা নেয়, নিতে পারে তারা। দেশের স্বার্থকে সবার ওপরে দেখতে হবে এবং আমাদেরই সেটার দায়িত্ব নিতে হবে।
আমাদের ঋণের বোঝা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আইএমএফ টাকা দিচ্ছে। ঠিকভাবে টাকা ব্যবহার করা হয় কি না, সেটা এখন দেখার বিষয়। পাঁচ বছরের প্রজেক্ট ১০ বছরে হয়। প্রকল্পে ক্রয়ের মধ্যে অনেক দুর্নীতি হয়। সুষ্ঠুভাবে টাকাটা ব্যবহার করা না হলে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবির ঋণের বোঝা দিন দিন সাধারণ মানুষের ওপর বেড়ে যাবে। এ জন্য আমরা দেখছি সরকার নানা জায়গায় নানা রকম ট্যাক্স বসাচ্ছে। দিন দিন সরকারের ব্যয়ের প্রয়োজন, বৈদেশিক ঋণ, কিছু ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধ করা প্রয়োজন। সরকার দিন দিন শুধু নতুন নতুন কর বসাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় চাপ বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির চাহিদার দিকটা শুধু ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট পলিসি নিলে চলবে না। সরবরাহের দিকটা দেখতে হবে। পণ্য উৎপাদন, বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য কৃষি, কৃষিজাত পণ্য, ভোগ্য পণ্য উৎপাদন বাড়াতে ঋণ সহায়তা এবং প্রণোদনা দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা সমীচীন হবে না।
আমাদের কটেজ, ছোট-মাঝারি শিল্পে বহু রকম পণ্য তৈরি হয়, কিছু পণ্য আমরা বাইরে থেকে নিয়েও আসি। যেগুলো বাইরে থেকে আনার প্রয়োজনই নেই, এখানে সেগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে, বাজারে এলে চাহিদা মিটবে, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমবে।
অতএব দৃঢ় হাতে গতানুগতিক ধারার বাইরে নিয়ে উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিটা প্রণয়ন করতে হবে। কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তারপর সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
লেখক : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়