দিনটা নি:সন্দেহে আফগানদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই নয়; আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে রশিদরা এবারই প্রথম সেমিতে খেলবে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে আফগানিস্তান।
যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই দেশটি ক্রিকেট দেখিয়েছে তাদের সাহস, শক্তিমত্তা এবং কৌশল। রশিদ খানের নেতৃত্বে গ্রপপর্বে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালি দলকেও তারা ধরাশায়ী করেছে। শুধু কী তাই! সুপার এইটে দুই বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকেই হারিয়ে দিলেন রশিদ-গুরবাজরা!
সেমিফাইনালে যেতে হলে সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের দরকার ছিল স্রেফ একটা জয়। আর বাংলাদেশের সামনেও ছিল সেমিফাইনালের হাতছানি। তার জন্য আফগানিস্তানকে হারাতে হতো বড় ব্যবধানে। তবে আফগানরা সেই সুযোগ টাইগারদের দেয়নি। সাকিব-তাসকিনদের হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল আফগানিস্তান।
এমন ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি দেশটির তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমির খান মুত্ত্বাকি। আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয়ের পর রশিদ খানকে ফোন করেন এই মন্ত্রী। তালেবান সরকারের এই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন রশিদ খান এমন একটি ভিডিও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, ঐতিহাসিক এই জয়ের জন্য রশিদ খানকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এই মন্ত্রী।
রশিদ খান বলেন, ‘আমার অনূভুতি আমি বলে প্রকাশ করতে পারবো না। এত বড় অর্জনের জন্য সবাই অনেক বেশি খুশি। একমাত্র ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, আমরা সেমিফাইনালে খেলতে পারি। এবং আমরা তার এই কথা সত্যি প্রমাণ করেছি। টুর্নামেন্টের আগে স্বাগত পার্টিতে তিনি আমাকে বলেছিলেন এই কথা, এবং আমি তাকে বলেছিলাম আমরা আপনাকে হতাশ করবো না।’
রশিদ খান আরও বলেন, ‘এই দলটাকে নিয়ে আমি গর্বিত। আমরা ভেবেছিলাম এমন উইকেটে ১৩০-১৩৫ ভাল রান। আমাদের ১৫-২০ রান কম হয়ে গিয়েছিল। আমরা জানতাম ১২ ওভারে ম্যাচ জেতার জন্য তারা আমাদের বোলারদের ওপর চড়াও হবে। তারা মারার চেষ্টা করবে। আর এই সুযোগটাই আমরা নিতে পারি। আমরা যদি স্টাম্প টু স্টাম্প বল করতাম, তাদের আউট করার আরও ভাল সুযোগ ছিল আমাদের। আমাদের অতিরিক্ত কিছু করতে হয়নি। আমরা শুধু চিন্তা করেছি আমাদের পরিকল্পনাটা ঠিকঠাক হতে হবে। আমরা চেষ্টা করলে এটা আমাদের হাতেই থাকবে।’